খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি-    খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ফার্নিচার ব্যবসায়ী মামুন(৩০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার বৃহস্পতিবার (১৯সেপ্টম্বর) বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২জন পাহাড়ি- বাঙালিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
আসামীরা হলো-মো. শাকিল(২৭) পিতা-আব্দুল মান্নান, সদর, শালবন(শাপলা মোড়)। মো. রফিকুল আলম(৫৫) ও মো. দিদারুল আলম(৫০), উভয়ের পিতা মৃত ওবায়দুল হক, সদর, পানখাইয়া পাড়া।
এই তিনজনের মধ্যে রফিকুল আলম আওয়ামী লীগের নেতা ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র। আরেক আসামি দিদারুল তাঁর ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
মুক্তা আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে হত্যার পেছনে বাঙালি ও পাহাড়ি উভয়ে জড়িত। আমার স্বামীকে যে কয়জন উপজাতি বা পাহাড়িরা পিটিয়ে হত্যা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তাদেরকে আমি চিনতে পরি নাই ও নাম জানি না, তাই তাদের নাম দেওয়া সম্ভব হয নাই।
বাদী মুক্তা আক্তার এজাহারে অভিযোগ করেন, গত ১৮সেপ্টেম্বর ভোর রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে তার স্বামী মো. মামুনকে অন্য আসামিদের নির্দেশে মো. শাকিল জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারে সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. মামুনকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জেরে দীঘিনালা, পানছড়িসহ খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকা ও রাঙামাটি জেলা সদরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
দীঘিনালায় অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন, জেলা সদরের স্বণির্ভরে সেনাবাহিনীর উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এতে খাগড়াছড়িতে ৩জন ও রাঙামাটি ১জনসহ ৪জন নিহত হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ১৯সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলাটি দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
			
                                
		    
                                












