বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক যার ভলিবল সম্পর্কে তার নূন্যতম জ্ঞান না থাকলেও তিনি গত ২৪ বছর ধরে কোন নির্বাচন ছাড়াই ভলিবল ফেডারেশনে বহাল তবিয়তে তার একক কর্তৃত্ব বজায় রেখে নানা অনিয়ম করে চলেছেন। মুষ্টিমেয় কয়েকজন সদস্যকে সাথে নিয়ে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত একক ভাবে বাস্তবায়ন করে আসছেন । খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম, দলীয়করণ ও সীমাহীন দূর্নীতি প্রতি নিয়ত করে চলেছেন।
এছাড়া আনুমানিক ৩০ বছর যাবত তিনি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সর্বোময় ক্ষমতার অধিকারী হওয়ায় ক্রীড়া মাফিয়ার মুকুট ধারন করেছেন যার দরুন শুধু ভলিবল নয় দেশের বেশীর ভাগ ফেডারেশনেই তার প্রচ্ছন্ন ছত্রছায়ায় কমিটি গঠিত হয়।
জাতীয় ভলিবলের ক্রমান্বয়ে যে কারনে অবনতি হচ্ছে তা নিম্নরুপঃ-
১) গত ০৭ (সাত) বছর যাবত জাতীয় ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপ অনুষ্ঠিত হয় না।
২) গত ১৪ বছর ধরে জাতীয় যুব ভলিবল অনুষ্ঠিত হয় না।
৩) গত ১২ বছরে শুধু মাত্র ৩ বছর প্রিমিয়ার, প্রথম বিভাগ ও ২য় বিভাগ লীগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪) মহিলা ভলিবল পুরপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
৫) গত ২৪ বছরে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী করা হয়েছে মাত্র ২ বার।
৬) স্থানীয় খেলোয়াড়দের উন্নয়নের জন্য কোন কর্মসূচী বা ট্রেনিং ক্যাম্প ধারাবাহিকভাবে হয় নাই।
৭) কোচেস কোর্স ও ধারাবাহিক রেফারী ট্রেনিং প্রোগ্রাম নেয়া হয় নাই।
৮) বাৎসরিক ক্রীড়াপঞ্জি দিয়ে বাজেট উত্তোলন করা হলেও সঠিক বাস্তবায়ন করা হয় না।
এমতাবস্থায় জাতীয় পর্যায়ে নিয়মিত লীগ ও টুর্নামেন্ট না হওয়ার কারনে খেলোয়াড়রা হতাশাগ্রস্থ, বেশির ভাগ প্রতিভাবান খেলোয়াড় খেলা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
ভলিবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এখনই সময় এই দূর্নীতিবাজ, ক্রীড়া বাণিজ্যকারী মাফিয়াকে সরিয়ে
প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠক ও অবসরপ্রাপ্ত জাতীয় খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে একটি কার্যকর কমিটি গঠন করে ভলিবলকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।