দুর্গাপুর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দুর্গাপুরে ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারে কতৃক জুলুমের শিকার আহত ও শহীদদের স্মরণে’স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হলরুমে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন এর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী জেলা জামায়াতের এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মোঃ নুরুজ্জামান লিটন, উপজেলা জামায়াতে আমীর সাইফুল ইসলাম, পৌর আমীর রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো.কামরুজ্জামান আয়নাল, সদস্য সচিব অধ্যাপক যোবায়েদ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল কবির ভুলু, বিএনপি নেতা জার্জিস হোসেন সোহেল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উক্ত স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ মিল্টন কুমার, উপজেলা প্রকৌশলী মাসুক ই মোহাম্মদ, জামায়াতের দেলুয়াবাড়ি ইউপি সভাপতি জিয়াউর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাহবুবা খাতুন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, উপজেলা প্রোগ্রামার কর্মকর্তা এম.এ.আব্দুল মতিন, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নীলা ইয়াসমিন, প্রনিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জান্নাতুন ফেরদৌস, মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা আজগর আলী, আইশা নুসরাত জাহান মেডিকেল কর্মকর্তা (এমসিএইচপি),অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ হোসাইন, শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান,উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক চয়েন উদ্দিনসহ ছাত্র আন্দোলনে আহত রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মোমিনুল হাসান,আহত ছাত্র ফায়সাল আহমেদ শান্ত ও ছাত্র সমন্বয়ক-রা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের যথাযথভাবে সহায়তা করার পাশাপাশি আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে। আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের দাবি জানান তারা। স্মরণসভায় আগষ্টে আহত শিক্ষার্থী মোমিনুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, আন্দোলনে আমার মাথায় বুলেটের আঘাত লাগে, সেখানেও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাকে তাড়া করে ও খোঁজ খুজি করে। আমি প্রাণভয়ে কিছুদূর সরে গিয়ে একসময় রাস্তায় পড়ে যায়। এসময় আমার দেশের পতাকার কাপড় দিয়ে মাথায় বুলেটের আঘাতে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ করার চেষ্টা করি। প্রথমে আমি মনে করেছিলাম মাথায় রাবার বুলেট লেগেছে, কিন্তু পরে রামেক হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করে জানতে পারি মাথায় আন্দোলনে ছোঁড়া বুলেট মাথার ভিতরে ঢুকে যায়। ডাক্তার দ্রুত অপারেশনের কথা বলে। প্রায় তিনমাস হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে সন্ধিক্ষণে থেকে কিছু টা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরি। বাড়ি ফিরে দেখি আমারই বিরুদ্ধে মিথ্যা রাষ্ট্রদোহ মামলা হয়েছে । পরে অসুস্থ অবস্থায় আদালত থেকে জামিন নিই। আগষ্টের ভয়াল স্মৃতি এখনো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে।
স্মরণ সভার শেষে ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।