জিএম কিবরিয়া, দুর্গাপুর – রাজশাহীর দুর্গাপুরে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আ,ন,ম রাকিবুল ইউসুফ সমাজ সেবার নামে মানুষকে হয়রানি করার সেবা দিয়ে চলেছেন। উপকারভোগীদের লাল ফিতার দৌরত্ম্যে বেঁধেছে উপজেলা সমাজসেবা অফিস। নীতিকথার ফুলঝুরি হাঁকলেও টাকা ও হয়রানি ছাড়া কাজ হয় না তার দপ্তরে।
জানাযায়, ১৫ সেপ্টেম্বর ২১ দুর্গাপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার দম্ভ অহংকার গরিব মানুষদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ পেতে থাকে তার আচরণে। সমাজসেবা দপ্তরে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষ সেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান পাইলসের চিকিৎসার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিছুদিন পূর্বে সমাজসেবা অফিস থেকে দশটার দিকে আমায় টাকা নিতে ডাকে। কনফারেন্স এর মাধ্যমে টাকা বিতরণ করা হচ্ছিল চক্ষু লজ্জার কারণে আমি উপস্থিত হইনি। পরে তার অফিসে গেলে তিনি আমায় অপমানজনক অনেক কথা বলেন, অফিস থেকে বের করে দেন। রাকিবুল ইউসুফ আমায় আরও বলেন, যখন আমি ডেকেছি আপনি আসতে পারেননি এখন দুই ঘন্টা পর টাকা পাবেন । আরেক ভুক্তভোগী মুরাদ ইসলাম জানান , আমার দাদি বয়স্ক ভাতা ভোগী ভাতা জন্য রেজিস্ট্রেশন করা সিমটি হারিয়ে যায় আবার সেটি দাদার নামে রেজিস্ট্রেশন করা ছিল। দাদা মারা যাওয়ার সিম পরিবর্তন করতে গেলে আজ নয় কাল, পরশু, এভাবে ২ সপ্তাহ ঘুরে গতকাল করে দিছে।
প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী আব্দুল হক জানান, আমার প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য ১৫০০ টাকা দেই উপজেলা সমাজসেবার এক কর্মচারীকে ওই কর্মচারী তাদের বলেন টাকা আমি খাবো-না বড়ো স্যার খাবে। এই বিষয়ে কাউকে বলা যাবে না।
এদিকে কুকুর বিড়ালের কামড়ানোর ভ্যাকসিন সহযোগিতার জন্য অনেকের সমাজসেবা অফিসে গেলে তিনি জানান এটা আমার দায়িত্বের মাঝে পড়ে না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাদ্দ আছে। আমি সর্বোচ্চ দুইটি ভ্যাকসিন দিতে পারি তিনটি আপনাদের কিনে নিতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসা সহযোগিতা নিতে আসা ব্যক্তিদের তিনি রাজশাহী মেডিকেল সমাজসেবা অফিস দেখিয়ে দেন । মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে হঠাৎ করে ভাতা বরাদ্দ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
এবিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আ,ন,ম রাকিবুল ইউসুফ জানান, অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কুকুর বিড়াল কামড়ানোর ভ্যাকসিন উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়া হতো। হয়তো তাদের বরাদ্দ না থাকায় রোগী কল্যাণ সমিতি হতে দিচ্ছি । টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি বলেন, এটা কমন বিষয় উদ্দেশ্য প্রমাণিত ভাবে যে কেউ কারো বিরুদ্ধে বলতে পারে । আমি ওপেন ডিক্লার দেই আমার অফিসে কোন টাকা পয়সা লাগে না । কেউ চৌকিদার অথবা বখাটে শ্রেণীর কাউকে টাকা দিয়ে থাকলে সেটি তার ব্যক্তিগত দায়ভার আমার বিষয় না ।
golamkibria5020@gmail.com