জিএম কিবরিয়া- রাজশাহীর দুর্গাপুরে বইছে শীতের হিমেল হাওয়া। তীব্র শীতে কাজ ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ।
শীতের আগমনে প্রত্যন্ত পল্লী এলাকায় থেকে শুরু করে থানা সদরের বিভিন্ন এলাকায় লেপ-তোষক তৈরি চলছে । তীব্র শীতে ধুন-কর আর লেপ-তোষকের ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি। অতিরিক্ত চাহিদার কারণে লেপ, তোষক ও জাজিম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কারিগররা।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা পড়ছে। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো কুয়াশায় চারদিকে ঢেকে যাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দুর্গাপুরে শীত নামতে শুরু করেছে।
লোকজন নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক সংগ্রহ করেছেন। লেপ-তোষক তৈরির অগ্রিম বায়না নিচ্ছেন কারিগররা। টেইলার-গুলোতেও ভিড় করছে মানুষ। বিভিন্ন ধরনের শীত বস্ত্র তৈরির পাশাপাশি কোট-প্যান্ট তৈরির চাহিদাও বেড়ে গেছে।
গত কয়েকদিন বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গাপুর বাজার, কানপাড়া হাট, আলীপুর বাজার, বাজার লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এ দিকে খোলা বাজারে লেপ-তোষক তৈরির তুলার দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। প্রতি কেজি গার্মেন্ট তুলা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, শিমুল তুলা ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কার্পাস তুলা ও শিশু তুলা ১৭০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলার মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে পৌর এলাকা ও গ্রামাঞ্চলের গৃহবধূরা শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পুরান কাঁথা, কম্বলগুলো জোড়া-তালী দিয়ে মেরামত করেছেন।
দুর্গাপুর পৌর শহর এলাকার লেপ-তোষক তৈরির কারিগর জয়নাল জানান, আমি সারদা এলাকা থেকে প্রতিবছর শীতের মৌসুমে লেপের কারিগর হিসেবে কাজ করতে দুর্গাপুর আসী। শীত পড়াতে লেপ, তোশক তৈরি ব্যাপক চাপ রয়েছে দিনে চার থেকে পাঁচটা লেপ তৈরি করছি। লেপের আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরি পাই। দুর্গাপুরে একটি লেপ বানাতে প্রকারভেদে ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
দুর্গাপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা সবুজ জানান, গত বার ১২০০ টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল এবার সেটা ১৫০০ টাকা খরচ পড়ছে। সবকিছুর সাথে তাল মিলিয়ে লেপ-তোষকের দাম বেড়ে গেছে। আশা রাখি নতুন সরকার সরকারি জনগণের প্রত্যাশা মাফিক শীতের প্রয়োজনীয় পণ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে আনবে।