ইউনিট সংগঠনই ইসলামী আন্দোলনের মূল চালিকা শক্তি; তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজকে তরান্বিত করার জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণে ইউনিটগুলোকেই কার্যকর ও ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
বুধবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মোহাম্মদপুর থানা পশ্চিম জামায়াত আয়োজিত এক ইউনিট সভাপতি শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মাসুদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম রুবেলের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও মোহাম্মদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য আব্দুল ওয়াজেদ কিরণ। এতে দারসূল কুরআন পেশ করেন জোন টিম সদস্য প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ইবাদত হোসেন, নুরে আলম সিদ্দিকী, রুহুল আমিন, আশরাফুল আলম, সাইফুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আলী আহমেদ মজুমদার, এডভোকেট তাইয়্যেবুর রহমান, মারুফ বিল্লাহ ও শাহাবুদ্দিন মিজান।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ি করার জন্য দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিলো। প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন- দুঃশাসনের জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছিলো। দেশকে নেতৃত্ব ও মেধাশূণ্য করতে ফ্যাসাবাদীরা কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে দেশবরণ্যে আলেম-উলামা সহ জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিলো। রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে তারা দেশে অপশাসন-দুঃশাসন চালিয়ে জাতিস্বত্ত্বার মর্মমূলে আঘাত হেনেছিলো। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-জনতার যুগপৎ বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের ভিত্তিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণে রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কর্মপ্রচেষ্টা সফল হলে দেশে ন্যায়- ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশের সকল শ্রেণির মানুষের অধিকার হবে নিশ্চিত। আর একাজকে সহজতর ও বেগবান করার জন্য প্রতিটি ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে। ইসলামী আন্দোনের কর্মীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টি জন্য বেশি বেশি কুরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করতে হবে। তিনি দেশকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ইউনিট দায়িত্বশীলদের ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানান।