পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে জানুয়ারি মাসজুড়ে দূষণ বিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। ২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত মোট ২৮৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এই অভিযানে ৬৮৬টি মামলায় মোট ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ১০৭টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ৬৬টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৭টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ ট্রাক সীসা/ব্যাটারী গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয় এবং কারখানা বন্ধ করা হয়।
অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দ দূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য, সীসা/ব্যাটারী রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
গত ০৩ নভেম্বর ২০২৪ হতে এ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ৩০৩টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৫৯১টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট চুয়াল্লিশ লক্ষ তেইশ হাজার একশত) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায়সহ আনুমানিক ১লক্ষ ১৭ হাজার ২১৮ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করা হয় এবং ১১টি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করে দেওয়া হয়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা ও ঢাকার মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহের বিরুদ্ধে ৫টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। ৭টি মামলায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সারাদেশে ৯,৫২৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। বিভিন্ন দোকান মালিককে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
একই দিনে কুড়িগ্রাম, ফেনী, ঝালকাঠি, ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও ঢাকায় ৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ১৪টি মামলায় ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৪টি ইটভাটার কিলন ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ৯টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঢাকার মুগদা, মতিঝিল ও উত্তরা এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের অভিযোগে ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ৩টি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
শব্দ দূষণ রোধে ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ ও মেহেরপুরে ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ৮টি যানবাহনের চালককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ১৫টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়। কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।