জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক মনোনীত হলেন করিমগঞ্জের খায়রুল কবির
জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP) এর কেন্দ্রীয় সংগঠক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌর এলাকার উদীয়মান তরুণ রাজনীতিক খায়রুল কবির।
গত ১ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের স্বাক্ষরিত এক আনুষ্ঠানিক প্যাডে এই মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। দলীয় নীতিমালা ও সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ-
জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরুণদের নেতৃত্বে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party – NCP) নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
শিক্ষাজীবন ও রাজনৈতিক পথচলা-
রাজনীতি সচেতন পরিবারের সন্তান খায়রুল কবির শিক্ষা বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং শিক্ষা ও প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি শিক্ষা বিষয়ে ডি.ফিল ডিগ্রি অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় করিমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে, যেখানে তিনি এসএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর করিমগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২০০৩-০৪ সেশনে ভর্তি হন। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি স্তরেই তিনি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংগ্রাম-
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ-এর প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন খায়রুল কবির।
২০২১ সালে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নরেন্দ্র মোদীর আগমনবিরোধী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গ্রেফতার হন এবং ছয় মাস কারাবরণ করেন। সেখান থেকেই তিনি রাজনীতিকে সেবা হিসেবে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
পারিবারিক পরিচয়-
খায়রুল কবিরের বাবা মরহুম মোমতাজ উদ্দিন ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার মা লুৎফুন্নেছা বেগম একজন গৃহিণী। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। তার ভাই-বোনেরা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও প্রত্যাশা-
খায়রুল কবির মনে করেন, দেশের বর্তমান অব্যবস্থাপনার সমাধান একমাত্র তরুণদের হাতেই সম্ভব। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আদর্শ সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং দেশের রাজনৈতিক অচলায়তন ভেঙে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে তিনি কাজ করে যেতে চান।
তিনি দৈনিক ইভিনিং নিউজকে জানিয়েছেন দেশকে এগিয়ে নিতে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন
তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন, যাতে তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারেন।













