শামসুল আলম,ঠাকরগাঁও – ঠাকারগাঁওয়ে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় চাকুরী হারিয়ে এলজিইডির ৫৩৩ জন নারী ও পুরুষ কর্মীর মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জানায়ায় য়ে ,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) এর আওতায় “পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩(জঊজগচ-৩)নামে প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়ে এবং ৩০শে জুন/২০২৪ সালে শেষ হয়। উক্ত প্রকল্পে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের গরীব, বিধাব ও স্বামী পরিত্যাক্তা অসহায় মহিলাগন কাজ করে থাকেন।
প্রকল্পে নিয়োজিত মহিলাগন পাঁকা রাস্তার পার্শ্বে ভেঙ্গে যাওয়া সোল্ডার মাটি ভরাটের মাধ্যমে মেরামত করে থাকেন। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মহিলারা কর্মরত না থাকায় রাস্তার পার্শ্বে মাটি ভেঙ্গে গিয়ে পাঁকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা মেরামতে সরকারের খরচ পরিমানে আগের তুলনায় অনেক অংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে ১০ জন করে মহিলা নিযুক্ত থাকে সে হিসেবে ঠাকুরগাঁও জেলার ৫৩টি ইউনিয়নে ৫৩০জন ও পুরুষ ৩ জন সহ মোট ৫৩৩জন সহ সারাদেশব্যাপী প্রায় ৪৫৭৮০ জন মহিলা কর্মরত ছিল। নিযুক্ত মহিলাগন দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে মজুরী প্রাপ্ত হন। তাঁরা দৈনিক হাজিরা হিসেবে ২৫০ টাকা যার ১৭০ টাকা নগদে ও ৮০ হারে সঞ্চয় তাঁদের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হত যা তাঁরা প্রকল্পের শেষে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৩০ শে জুন এর পরে প্রাপ্ত হয়েছেন। উক্ত প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হয়। বর্তমানে উক্ত সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অসহায় মহিলারা তাঁদের চাকুরী হারিয়ে বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
প্রকল্পটি বার বার পাশ করার জন্য একনেকে উঠলেও এ বিষয়টি মাননীয়উপদেষ্টাগনের সুদৃষ্টিগোচর হয়নি।৮ই মার্চ নারী দিবস উপলক্ষ্যে বিভন্ন অনুষ্ঠানে মাননীয় উপদেষ্টাগন নারীদের বিষয়ে সম-অধিকার, অংশ গ্রহনের সমতার কথা উল্লেখ করলেও তাঁদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য “পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৪(৩জঊজগচ-৪)” নামে প্রকল্পটি কেন একনেকে পাশ হচ্ছেনা সে বিষয়ে স্থানীয় সরকারের মাননীয় উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা নারী কর্মীরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এই প্রকল্পে কাজ করত,শেফালি বেগম,জোসনা বেগম,সন্ধারানী, মাজেদা বেগম,পারভিন বেগম জানান, এই প্রকল্পে যারা কাজ করে তারা আমাদের মত অনেকেই বিধাবা ও অসহায়।এই প্রকল্প যখন চালুছিল দৈনিক যা হাজিরা পেতাম তা দিয়ে কোন মতে সংসার চলত। বর্তমানে প্রকল্পটির শেষ হয়য়ায় চাকরি হারিয়ে সংসার নিয়ে খুব খারাপ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছি।তাই উক্ত প্রকল্পটি পুনরায় চালু করতে সরকারের মাননীয় উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমাদের মত অসহায় নারীদের জন্য খুব উপকার হত।
ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন বিশ্বাস বলেন,এই প্রকল্পর আওতায় যেসব নারীরা কাজ করত অনেকেই বিধাবা,অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর । প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এই তারা এখন বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছ্রে।এই প্রকল্পটি পুনরায় চালু করলে গ্রামীন সড়কগুলো ভালো থাকবে এবং অসহায় নারীদের কর্মসংস্থান হবে।