হলধর দার, নরসিংদী:: দেশব্যাপী এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা/২০২৫ চলমান রয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল তারিখে ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হলে বিদ্যুৎ চলে যায় । এতে করে পরীক্ষার হলে অন্ধকার নেমে আসে। পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় পরীক্ষার্থীরা তাদের উত্তরপত্র লিখতে সমস্যার সম্মূক্ষীণ হয়। নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার কয়েকটি কেন্দ্রে আলোক স্বল্পতা দেখতে পান । পৌলানপুর আলীম মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন যে, পরীক্ষার্থীগণ মোমবাতি জালিয়ে অনেক কষ্ট করে প্রশ্নপত্র পড়ছে এবং খাতায় লিখতে সমস্যা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে মনের মতো করে খাতায় উত্তর দিতে সমস্যা হচ্ছে।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে মোমবাতি জ্বালিয়ে কষ্ট করে পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক । তাই তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ঝড়-বৃষ্টিতে আলোর স্বল্পতা বা বৈদ্যুতিক সমস্যা দূরীকরণের লক্ষে মহতী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন । প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনীত ঘটনার সময়ও যেন পরীক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থাই তিনি করলেন।
সে লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার কর্তৃক নরসিংদী সদর উপজেলার এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা’র ভেন্যুসহ ১৫টি কেন্দ্রের প্রত্যেকটি পরীক্ষা কক্ষে ০২ (দুই)টি করে এলইডি এনার্জি স্যাভিং ও রিচার্জেবল লাইট সরবরাহ করা হয়।
লাইট সরবরাহকালে তিনি বলেন, সবখানেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আছে। লাইনগুলো নিয়েই লাগিয়ে রাখতে হবে যেন চার্জ হয়ে যায় । এতে করে বিদ্যুৎ না থাকলেও পরীক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে কোন সমস্যায় পরবে না। তারা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। নির্বিঘ্নে খাতায় তাদের উত্তর লিখতে পারবে। অর্থাৎ প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পর্যাপ্ত আলোতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবে।