শামসুল আলম,ঠাকুরগাঁও :: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,১৫ বছরে আওয়ামীলীগ এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মামলা দিয়েছে কারন এ অঞ্চলের মানুষ বেশি প্রতিবাদ করেছে। আমি ঢাকায় বসে দেখেছি আন্দোলনের সময় আমাকে যখন আওয়ামীলীগ সরকার ঢাকায় গ্রেফতার করেছিল এ অঞ্চল অচল করে দেয়া হয়েছিল। যান বাহন সব ব›ধ করে দিয়েছিল আপনারা।তখন তারা আপনাদের উপর মামলা দিয়েছিল।মামলা মামলা বহু মামলা দিয়েছে তবু কি তারা পারছে টলাতে। কারণ অন্যায় আপনারা কখনো মেনে নেন নাই।১৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার শুধু এই মোলানী কিংবা ঠাকুরগাঁও না সারা বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষের অন্যায় অত্যাচার করেছে। এখানকার পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া সেই পিজাইডিং হত্যা মামলা আপনাদের উপর চাপানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চিলারং ইউনিয়নের মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসংযোগ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল, বিভাজন নয় সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চাই। একটা ভালোবাসার বাংলাদেশ চাই। বিএনপি সরকারক্ষমতায় এলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দল বিএনপি। অন্যায় করবেন না, যদি করে থাকেন তাহলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। কেউ অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে তুলে দেবেন। দল আপনাদের, ধানের শীষ আপনাদের, রক্ষা করার দায়িত্বও আপনাদের।
আয়নাঘর ও হাসিনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যাদের ভয় পেয়েছে তাদের গুম করেছে। ১ হাজার ৭০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে। ৭ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা হয়েছে। গোলাম আযমের ছেলে ফারুক ই আযমকে ৮ বছর গুম করে রাখা হয়েছে। সিলেটের এমপি ইলিয়াসের এখনো খবর পাইনি তার পরিবার। আমরা ভয়াবহ ডাইনির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত স্বৈরাচার হাসিনার শাসন আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ও জনগণের ওপর তীব্র নির্যাতন করা হয়েছে। গুম, খুন, ভিত্তিহীন মামলা, লুটপাট, টাকা পাচার, বাকস্বাধীনতা হরণ, ভোট চুরি করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে, লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে, ঘরে থাকতে দেয় নাই। আমরা তো কোথাও পালিয়ে যাই নাই। আদালতে মিথ্যা মামলা আইনের মাধ্যমে ফেস করেছি। উকিল ধরে জামিন নিয়েছি। আপনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে আছেন কেন? আপনিও মামলা লড়েন। আপনি দেশে এসে দাঁড়ান না দেখি।
জনগণের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা অনেকে মনে করেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরে আসবে। তিনি তো ১৫ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন । তার বাবা শেখ মুজিবুর একজন বিখ্যাত মানুষ ছিলেন। তার তো দেশ থেকে পালানোর কথা ছিল না। তিনি পালালেন কেন? কারণ তিনি একজন ডাইনি ছিলেন। জনগণের ওপর এমন নির্যাতন করেছেন, যে তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। জনগণ যদি সেদিন তাকে পেত তাহলে ছিঁড়ে খেতো। হাসিনা দেশে ফিরে রাজনীতি করলে আমাদের কিছু করতে হবে না, জনগণই তাকে দেখে নেবে।
নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির জনপ্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, এ এলাকায় রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করা হয়নি। কারণ আপনারা বিএনপি সমর্থন করেন। এমন অনেক এলাকা আছে বিএনপি সমর্থনের কারণে বঞ্চিত করা হয়েছে। আপনারা বলেন এমন ব্যক্তিরা কি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন? আসুন আমরা সবালে মিলে একটা ভালোবাসার দেশ গড়ি।
এ সময় তিনি উপস্থিত মানুষকে ধানের শীষের পক্ষে থাকার কথা বলেন। ধানের শীষকে রক্ষা করার কথা বলেন।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর বিএনপি সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন