নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) কর্তৃক সংঘটিত নির্বিচার হত্যা, ধ্বংস ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং শোক প্রকাশ করছে। ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস অভিযানে শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ নির্মমভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন। হাসপাতাল, স্কুল, বাসাবাড়ি, শরণার্থী শিবির—কোনো কিছুই এই আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
এই ধরনের সহিংসতা কেবল অমানবিক নয়, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোতে বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা আজ ঘৃণাভরে পদদলিত হচ্ছে।
নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে, গাজায় যা ঘটছে, তা নিছক একটি যুদ্ধ নয়—এটি একটি গণহত্যা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। আর এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা অত্যন্ত হতাশাজনক।
আমরা জোরালোভাবে আহ্বান জানাই—বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি—তারা যেন ইসরায়েলি সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক ও সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো জাতিকে এমন নির্মমতার শিকার হতে না হয়।
মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, এবং শান্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়াই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের জীবনের মূল্য রাজনীতির চেয়ে অনেক বেশি। শিশুদের কান্না, মায়ের আহাজারি, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা স্বপ্নগুলো—এসবের চেয়ে বড়ো কোনো ভূখণ্ড, কোনো কূটনীতি, কোনো স্বার্থ নয়।
নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় গাজার নির্যাতিত মানুষের প্রতি পূর্ণ সংহতি ও সহানুভূতি প্রকাশ করছে। আমরা বিশ্বের সকল বিবেকবান ব্যক্তি, মানবাধিকার সংস্থা এবং রাষ্ট্রসমূহকে অনুরোধ করছি—এই গণহত্যা বন্ধে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করুন এবং একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ তৈরি করুন।
নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা ন্যায়, মানবিকতা ও শান্তির পক্ষে।
ফিলিস্তিন চিরজীবী হোক।
			
                                
		    
                                












