রাজধানীর মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসাতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বনশ্রী সমমনা পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, হাইকোর্ট পশুর হাট বসাতে স্থিতি অবস্থার আদেশ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তালিকা থেকে মেরাদিয়া হাট বাদ দিলেও একটি চক্র হাট বসাতে তৎপর। তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। তাদের হুমকিতে আমরা ভয় পাই না। মেরাদিয়ায় অবৈধ হাট বসাতে দেওয়া হবে না।
শনিবার মেরাদিয়া বাজারে সমমনা পরিষদ-বনশ্রী আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। সকালে বনশ্রীর মোরাদিয়ায় মানববন্ধনের আগে স্থানীয় বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ারা মেরাদিয়া মেইনরোড থেকে পিবিআই পর্যন্ত গরুর হাটের বিরুদ্ধে মিছিল করে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মানুষের বাড়ি-ঘরের সামনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা এবং সিটি করপোরেশন কর্তৃক হাটের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরে হাট বসানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সমমনা পরিষদের সভাপতি শাহাবুদ্দিন সিকদার বলেন, যারা হাট বসায় তারা বনশ্রী বা আফতাবনগরের কেউ নন। তারা আসে সবুজবাগ, বাড্ডা, খিলগাঁও থেকে । কোনো রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও তারা বড় দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ভয় দেখায়। আজ থেকে কোরবানির হাটের দিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। যদি আমাদের বাসার সামনে গরু আনা হয়, আমরা ঝাড়ু ও বাথরুম পরিষ্কারের ব্রাশ দিয়ে প্রতিরোধ করব।
তিনি বলেন বনশ্রীর মেরাদিয়া একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। এই এলাকায় ৬৮০টি বাড়ি আছে। গরুর হাটের কারণে বাসার মালিকেরা ভাড়াও কম পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাসার গ্যারেজ, এমনকি মূল ফটকের সামনেও হাট বসানো হয়। এতে মালিক-ভাড়াটিয়ারা বাসা থেকে বের হতে পারেন না। জরুরী চিকিৎসার জন্য রোগীরা হাসপাতালে যেতেও পারেন না ।
এলাকায় মশার প্রকোপ বেড়ে যায়।যত্রতত্র গরুর গোবর ছড়িয়ে ছিটিয়ে বৃষ্টির পানি আটকে থাকে। এমনিতেই মশার যন্ত্রণায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। পরিবেশ নোংরা হয়ে যায়।
ঈদের পক্ষকাল আগ থেকেই এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ থাকে না ।
তিনি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা এবং সিটি করপোরেশনের হাট তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরেও গরুর হাট বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদেই আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।##