আইয়ুব আলী ময়মনসিংহ :: ময়মনসিংহের ত্রিশালের নজরুল একাডেমি মাঠে পর্দা নামল তিনদিনব্যাপী নজরুল জয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালার। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত হলো আজ বিকেলে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুন নাহার, নজরুল গবেষক এএফএম হায়াতুল্লাহ এবং কবি ও নজরুল গবেষক রেজাউদ্দিন স্টালিন।
বক্তারা বলেন, নজরুল ইসলাম শুধু আমাদের সাহিত্য-সংগীতের প্রেরণা নন, তিনি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণার উৎসও। তাঁরা বলেন, হয়তো আর কোনো বিপ্লব প্রয়োজন হবে না, কিন্তু বাকস্বাধীনতা রক্ষায় নজরুলের চেতনা ও প্রাসঙ্গিকতা নতুন করে বিপ্লবের অনুপ্রেরণা দিতে পারে।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নজরুলের সৃষ্টিকর্ম যদি বিশ্বের অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়, তবে বিশ্বের নিপীড়িত মানুষও অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস পাবে। তিনি আরও বলেন, ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের আলোকে নজরুলের উত্তরাধিকার অনস্বীকার্য, তাঁর চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে অনিবার্য প্রেরণা হয়ে আছে।বক্তব্য রাখেন
পুলিশ সুপার কাজি আখতার উল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুন নাহার, স্বরাক বক্তা ছিলেন নজরুল গবেষক এএফএম হায়াতুল্লাহ, ও কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, “ময়মনসিংহের এই ত্রিশালের মাটিতেই রোপিত হয়েছিল নজরুলের সাহিত্য এবং সংগীত সাধনার বীজ, যা আজও বাঙালির মননে অম্লান।”এ উপলক্ষে নজরুল একাডেমি মাঠে বসেছিল তিনদিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা, যেখানে কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্র, দেশীয় নানা উপকরণ, শিশুতোষ বিনোদন, নাগরদোলা এবং বৈচিত্র্যময় খাবারের পসরা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। সফলভাবে শেষ হওয়া এ আয়োজন নজরুলের চেতনা ছড়িয়ে দিতে নতুন করে বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে বলে মনে করছেন আয়োজক ও দর্শনার্থীরা।