মোঃ সানাউল্লাহ রিয়াদ, বরগুনা:: চলতি বছরের গত ২২ এপ্রিল বরগুনা জেলার সব সড়ক ও মহাসড়কে পৌরসভার নামে বিভিন্ন যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিজ্ঞ আদালত। বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ্ এ আদেশ দেন। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এর আগেও টার্মিনাল ছাড়া সব সড়ক ও মহাসড়ক থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায় বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলো।
অথচ আদালতের নির্দেশনাকে অমান্য করে বেতাগীতে টোলের নামে চাঁদা আদায় করে আসছিলো বেতাগী পৌর শহরের বাসিন্দা মৃত. আঃ ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মোঃ খোকন হাওলাদার। রাস্তায় চাঁদাবাজী ছাড়াও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে খোকন হাওলাদারসহ নাম উল্লেখপূর্বক ৬জন ও আরও ৫-৬জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বেতাগী পৌরসভার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন খান এর ছেলে মোঃ নেছার উদ্দিন বাদী হয়ে বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জকে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রত বিচার) আইন ২০০২ এর ৪/৫ ধারায় মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ প্রদান করেন। পরে আসামি খোকনকে গত ২৭ তারিখ গ্রেপ্তার করে বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতে হাজির করলে তাকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মাত্র একদিনের মাথায় গত বুধবার (২৮ মে) দ্রুত বিচার আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে। একইদিনে মাত্র এক ঘন্টার ব্যবধানে মিস কেস করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ খোকনের জামিন মঞ্জুর করে।
খোকনের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়রা সহকারী মোঃ জালাল।
এদিকে টোল আদায়ের নামে সড়কে চাঁদাবাজীর মামলায় খোকনের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কেননা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ও বরগুনা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে যারা সড়ক পথে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যেই জামিন পেয়ে গেলে আবারও শুরু হতে পারে সড়ক ও মহাসড়কে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজীর মতো অপকর্ম।