আইয়ুব আলী ময়মনসিংহ :: ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ জুন) ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মো. আতাউল কিবরিয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জিয়া আহমেদ সুমন, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা, আজকের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, প্রেসক্লাবের জৌষ্ট সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউল করিম খোকন, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সভাপতি আইয়ুব আলী, সহ প্রমুখ। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালাটি পরিচালিত হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রিসোর্স পার্সন হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সাধারন সম্পাদক ও পিআইবির ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য সরদার ফরিদ আহমদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটুল, জিপি মো আজহারুল হক।
প্রধান অতিথী পুলিশের ডিআইজি আতাউল কিরবিয়া গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের সাহসী ভূমিকা স্মরণ করেন। তারা বলেন, “গণমাধ্যম জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই প্রশাসন ন্যায় বিচার মানবাধিকার রক্ষা ও মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নিচ্ছে। এতে ভেঙ্গে পরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি অনেকটাই তমে আসবে।
বক্তারা আরো বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় কিছু কিছু শব্দ বা টার্ম ব্যবহার করে মনগড়া ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়ে নির্দোষ মানুষকে ‘জঙ্গি’, ‘বিদ্রোহী’ কিংবা ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ হিসেবে উপস্থাপন করা হতো। কারো দাড়ি-টুপি দেখলেই তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিত্রিত করে খবর প্রকাশ হতো, যা ছিল সরাসরি বৈষম্যমূলক এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী।”
ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া তার বক্তব্যে আরও বলেন, “সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকদের দায়িত্বশীলতা ও বস্তুনিষ্ঠতা রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাংবাদিকদের উচিত হলো গুজব ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা থেকে বিরত থেকে সত্য ও তথ্যনির্ভর সাংবাদিকতা চর্চা করা।”
এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ভবিষ্যতেও আয়োজনের প্রত্যাশা জানিয়ে অন্যান্যরা বলেন, “সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও নৈতিকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও জনমুখী গণমাধ্যম গড়ে তোলা সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ষাট জন সাংবাদিক সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।