মোঃ সানাউল্লাহ রিয়াদ, বরগুনা:: বরগুনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিন ভুয়া চিকিৎসককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ জুন) রাতে বরগুনা শহরের বিভিন্ন স্থানে গোপন্নঅভিযান চালিয়ে রোগী সেজে তাদের আটক করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্।
আটককৃতদের মধ্যে তিন জনকে জরিমানা করা হয়, তারা হলেন- বিধান চন্দ্র সরকার, ইদ্রিস আলম এবং জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদের প্রত্যেককে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় এক লাখ টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, জহিরুল ইসলাম সৌরভ নামের আরেকজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয।
আদালত সুত্রে জানা গেছে- বরগুনা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া ডাক্তার ধরার বিশেষ গোপন অভিযান পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সনদপ্রাপ্ত না হয়েও ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা প্রদান করায় ৪ জনকে আটক করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ নিজে উপস্থিত থেকে এ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে এর মধ্যে তিনজন দোষ স্বীকার করলে তাদের জরিমানা এবং অন্য একজন দোষ স্বীকার না করায় তার বিরুদ্ধে বিএমডিসি আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন- “বরগুনা পৌর শহরে ডাক্তার না হয়েও কয়েকজন ব্যক্তি ভুয়া ডাক্তার সেজে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। এমন অভিযোগে চারজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হয়। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনজন দোষ স্বীকার করলে তাদেরকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।”