মোঃ রুহুল আমিন রাজু, জামালপুর :: মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ৮ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বিএনপি’র সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির ভার্চুয়ালি শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম। অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ছিলেন জামালপুর- ৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী,বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সম্পাদক, জামালপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। তিনি বলেন, যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের তিনশ আসনের মধ্য থেকে একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারবেনা তারাই নির্বাচনের বর্তমান বিধি বদলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চায়। তারাই আবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। আসলে তারাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্বিত করে ড: ইউনুসকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রাখতে চায়। জাতীয় নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায় তারা যে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র ও শয়তানি করছে তাহা এখন আর কারো বুঝতে বাকি নেই। এতো সুজা না – তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবেনা।
মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল আরো বলেন, আমরা বিএনপি নেতা কর্মীরা দীর্ঘ পনের বছর ধরে একটি অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দাবী করে আসছি । সবার আগে জাতীয় নির্বাচন দিতেই হবে। বিএনপি এদেশের সর্ববৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার কথা হয়ছে।পরে তারা যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন আগামী ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্রিলের মাঝা মাঝি সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আমারা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী করেছি।
মেলান্দহ পৌর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুন্জুরুল কবীর মন্জু, হাজরাবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি ইসমাইল হোসেন, মেলান্দহ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ আকন্দ।
হাজরাবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ তালাদ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় ওই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাফিজ নাহিন, আনোয়ারুল কাদির শ্যামল তালুকদার, এম,রফিকুল ইসলাম রহিম, আলহাজ নুরুল আলম সিদ্দিকী, সৈয়দ রাশেদুজ্জামান অপু মিয়া, তৈয়বুর রহমান মাষ্টার প্রমুখ।