রুহুল আমিন রাজু, জামালপুর :: ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অসহায় দরিদ্র পরিবারের কৃষকের কাছে সাদা ট্যাম্পে টিপসহি/স্বাক্ষর নিয়েছেন বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি শহিদুল্লাহ। ঘটনাটি ঘটেছেন জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পীরগাছা গ্রামে। ঘটনার সূত্রে জানা গেছে পীরগাছা গ্রামের বাসিন্দা মৃত তছর উদ্দিনের ছেলে শহিদুল্লাহ তার ছেলে ও আব্দুস ছালাম নামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থকের সহযোগিতায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনা সূত্রে জানা গেছে শহিদুল্লাহ কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ৭নং ওয়ার্ড সভাপতির পদ পদবী ব্যবহার করে ও নিজে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে গত ৫ আগষ্টের পর থেকেই নানান অপকর্মের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে বলে এলাকাবাসী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। শহিদুল্লাহ একজন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, দালাল প্রকৃতির লোক। সম্প্রতি বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি শহিদুল্লাহ একই এলাকার বাসিন্দা পীরগাছা গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেব এর স্ত্রী আনোয়ারা বেওয়া তাঁর দেবরদের কাছে জোর করে জমি লিখে নেওয়ার জন্য
সাদা ষ্ট্যাম্পে সই নেয়।পরে আনোয়ারা বেগম কয়েকদিন পর জমির কাগজপত্র শহিদুল্লাহর কাছে ফেরৎ চাইলে তিনি বলেন,আপনাদের জমি আমি বায়নাপত্র করেছি ও জমি লিখে নিয়েছি এবং টাকা পয়সা দিয়ে দিয়েছি। এমন কথা শুনে আনোয়ারা বেগমসহ পরিবারের সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে।
কিন্তুু উক্ত বিএনপির ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি শহিদুল্লাহর হাত,পা ধরে কাঁদতে থাকে অনয় বিনয় করতে থাকলেও শহিদুল্লাহ তাদেরকে উল্টো বলে যে,তোমাদের জমির দখল ছেড়ে দাও তোমাদের জমি জমা আমাকে লিখে দিয়েছো। এমন কথা শুনে আনোয়ারা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন হতবাক হয়ে পড়ে। তবে বিষয়টি এলাকাবাসীদেরকে আস্তে আস্তে জানাইলে এলাকাবাসী বলেন, তাঁরা বিএনপির ওই ওয়ার্ড সভাপতি শহিদুল্লাহর বিচার করতে পারবে না। সে একজন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক বটে। তোমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারো। তারপর আনোয়ারা বেগম ও তারপরিবারের লোকজন কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি /সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন নেতাদের
বিচার দিলেও বিএনপির নেতারা এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সুরাহা করতে পারেন নাই। তবে এই বিষয়ে ভোক্তাভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সুপার তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।এদিকে আসামি আব্দুস ছালাম বাদী কে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন।