মশিউর রহমান খান, জয়পুরহাট :: জয়পুরহাটে নতুন হাটের সাইদুর রহমান তার অসুস্থ মা ও স্ত্রীকে রেখে কাজে যান। এর ফাঁকে তার স্ত্রী দলবল নিয়ে তার অসুস্থ শাশুড়িকে আক্রমণ করে স্ট্যাম্পের বাড়ি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। , এ ব্যাপারে সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, যে আমার স্ত্রী মোছাঃ শাবানা বেগম, পিতাঃ মৃত আলতাফ শেখ এবং তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যগণ আমার শাশুড়ী, আমার স্ত্রীর বড় বোন আলেয়া, আলেয়ার দুই মেয়ে সনিয়া এবং সুবর্ণা আমার স্ত্রীর মেজো বোন রোজিনা, রোজিনার ছেলে, স্ত্রীর ছোট ভাই ফাহিম, স্ত্রীর বড় ভাই উজ্জ্বল, উজ্জলের স্ত্রী ময়না বেগম এবং থানা লুটকারী পুলিশের গুলিতে নিহত তথাকথিত ভূয়া শহীদ মেহেদীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার সৃষ্টি পরিকল্পিতভাবে আমার অনুপস্থিতিতে আমার নিজ বাড়িতে আমার অসুস্থ মায়ের এক সপ্তাহ আগে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়েছে তার উপর শারীরিক আক্রমণ চালায়। তারা আমার মাকে মেরে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং তাকে জোরপূর্বক একটি স্ট্যাম্পে সাক্ষর করিয়ে আমাদের পারিবারিক বাড়ি তাদের নামে লিখে নেওয়ার চেষ্টা করে।
তাদের এই জোরপূর্বক কার্যকলাপের কারণে আমার মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়েছে এবং আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তারা বর্তমানে কথায় কথায় শহীদ পরিবারের নাম ভেঙ্গে চলতেছে। কিছু একটু হলেই তারা যাকে তাকে শহীদ পরিবারের অহংকার দেখিয়ে ডিসি ম্যাডামের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। দীর্ঘদিন ধরে আমাকে তারা ডিসি ম্যাডামের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমার বাড়ি লিখে নেওয়ার পায়তারা করে। তাহলে তারা কি এভাবেই ডিসি ম্যাডামকে পুজি করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে?
আমি স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিক ভাইদের তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য
দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি আরো বলেন এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী সাইদুর মা আফরোজা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ঘাড় ও পিঠে লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও জোর করে আমার হাতে স্ট্যাম্প দিয়ে স্বাক্ষর করতে বলে।
আশপাশ থেকে লোকজন আসলে তা ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে তার স্ত্রী শাবানা বেগমের কাছে এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে বারবার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি। জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওহাবের কাছে ব্যাপারটি জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমার জানামতে কোন অভিযোগ আসেনি।