শামসুল আলম,ঠাকুরগাঁও:: উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শরৎ ঋতুতেই ধীরে ধীরে নেমে আসছে শীতের আমেজ এ যেন শীতের এক আগমনী বার্তা।গত কয়েকদিন ধরেই ভোরে কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারপাশ, আর সঙ্গে বইছে মৃদু হিমেল হাওয়া। ফলে আশ্বিন মাসের প্রথম ভাগেই ঠাকুরগাঁওবাসী পাচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
ভোরের দিকে অনেকে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। আবার সকালে রোদ উঠতেই শুরু গরম।
প্রকৃতির এই বৈপরীত্য মৌসুম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কৃষকেরা বলছেন, শীতের আগাম উপস্থিতি ধান ও সবজির জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়লে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। ফলে ভোর ও সকালে শীতের আমেজ আরও স্পষ্টভাবে অনুভূত হবে।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, উত্তরের জেলা হওয়ায় ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় অন্য এলাকার তুলনায় শীত আগে আসে। ভোর ও সকালে কুয়াশা ও হালকা ঠান্ডা বাতাস চলতি মাসের শেষ ভাগে আরও বাড়তে পারে।
এদিকে হঠাৎ শীতের স্পর্শে সাধারণ মানুষও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। শহরের বাজারে পাতলা কম্বল, সোয়েটার ও চাদরের খোঁজ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য অনেক পরিবার আগেভাগেই শীতের কাপড় গুছিয়ে রাখছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাসিন্দা কৃষক আলাউদ্দিন হোসেন জানান, ভোরে ঘুম থেকে উঠলেই ঠান্ডা হাওয়া লাগে। মাঠে কাজ করতে গেলে এখন ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে । তবে শীত বেশি হলে সবজির ক্ষতি হওয়ার ভয় আছে।
অন্যদিকে মেহেদী নামে এক কলেজ ছাত্র জানান,সকালে ক্লাসে যেতে হলে ঠান্ডা লাগে । দুপুরে আবার গরম লাগে। এভাবে ঠান্ডা-গরমে সর্দিকাশির সমস্যা বাড়তে পারে।
প্রকৃতির এই আমেজ ঠাকুরগাঁওবাসীকে আগাম শীতের স্বাদ দিচ্ছে। তবে কৃষি ও স্বাস্থ্যখাত উভয়ের দিক থেকেই সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।