শামসুল আলম,ঠাকুরগাঁও:: জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দাবিদাওয়া আপাতত বন্ধ রাখুন, আমরা আর বিভেদের রাজনীতি চাই না। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে চাই না। হিংসার রাজনীকে প্রশ্রয় দিতে চাই না, চাই একটা শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক। কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমেছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো মনে হয় না। আপনাদের দাবিদাওয়াগুলো আপাতত বন্ধ রাখুন। আর বিভে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণভোট হতে হবে বা পিআর হতে হবে, না হলে ভোট হবে না।এইগুলো বাদ দেন। দেশের মানুষ একটি নির্বাচন চায়। পিআর দেশের মানুষ বোঝে না। পিআরটা আবার কি? আগে ভোট হউক তারপর কার কি দাবি আছে সেটা সংসদে গিয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিন্ধান্ত নেওয়া যাবে।তিনি বলেন, পিআর নিয়ে মিছিল-মিটিং বন্ধ করুন। দয়া করে নির্বাচনটা হতে দেন। বাংলাদেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের অস্থিরতা কাটুক। আপনাদের কাছে অনুরোধ সঠিক সিন্ধান্ত নিন।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর সংস্কার সনদে স্বাক্ষর হবে। কিসের সংস্কার? তারপরও আমরা করতেছি। ঘরের দরজা বা টিন যেমন কয়েক বছর পরপর বদলাতে হয় তেমনি রাজনীতিতেও কিছু সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ও ছাত্ররা মনে করেছে দেশটাকে ঠিক করতে হলে সংস্কার করতে হবে।
দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সবাই মিলে সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমি ১১ বার কারাগারে গেছি। শেখ হাসিনা আমাকে ভয় করতো, যে কারণে কারাগারে পাঠাতো। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমাদের অনেক ছেলে প্রাণ দিয়েছে। তাই আসুন সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করি। তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এখানে সকল ধর্মের মানুষ থাকবে। এখানে যারা হিন্দু আছেন তারা হিন্দু ধর্ম পালন করবে, তাদের মন্দির সুরক্ষিত থাকতে হবে। যারা ইসলাম ধর্ম পালন করে তাদের মসজিদ সুরক্ষিত থাকতে হবে। মানুষের কথা বলার সুযোগ সুরক্ষিত থাকতে হবে। এই যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই মিলে থাকাটাই আমাদের বাংলাদেশ।