নারায়ণগঞ্জ জেলার নানান শ্রেনী পেশার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বিদায়ী জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা। যাঁর বাস্তবসম্মত নানান উদ্যোগে মানবিক ডিসি হিসাবে তিনি সর্বমহলে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
১৬ নভেম্বর বরিবার জেলা প্রসাশক জাহিদুল ইসলাম মিঞা’র নারায়ণগঞ্জ জেলায় শেষ কর্মদিবস। এ দিন সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ি, মানবিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ভীড় জমাতে শুরু করে। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে সেসময়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকতারা কর্মচারিরাও বিদায়ী জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
নারায়ণগঞ্জের মানবিক জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে একের পর এক সর্বশ্রেণীর পেশাজীবী নারায়ণগঞ্জ জেলার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি । সেই দিনও সাধারণ মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন । সমাধানের চেষ্টা করেছেন । সাধারণ মানুষ কি পেলো বা না পেলো সেটা বড় নয়, একজন মানুষ ডিসির কাছে তার সমস্যা বলতে পেরে মনের দিক থেকে আশ্বস্ত হয়েছে।বেশিরভাগ চাওয়াই পূর্ণ করেছেন জেলা প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জের বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার ১০ মাস ২দিন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে এসে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মন জয় করে গেলেন। তার বদলির খবর শুনে অনেকেই অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার যোগদান করেই তার মেধা ও কর্মদক্ষতা ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে নারায়ণগঞ্জবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। যখনি কোথাও কোনও সংকট দেখেছেন তিনি ছুটে গেছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন সবার বিপদ-আপদে। প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তি ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষদেরও আস্থার যায়গা ছিল মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
নারায়ণগঞ্জের সকল স্তরের মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হোন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
নারায়ণগঞ্জের এক কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘ডিসি সাহেব নারায়ণগঞ্জে যোগদান করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরগুলোতে ঘুষ দুর্নীতি মুক্ত করতে পেরেছিলেন।
স্থানীয় এক সংবাদকর্মী বলেন, ‘এমন মানবিক গুণসম্পন্ন ডিসির কথা ভোলা যায় না। তার সততা, কর্মনিষ্ঠা, মানবিকতায় আমি মুগ্ধ। তার মত ডিসি যদি প্রতিটি জেলায় থাকতো তাহলে মানুষ অতি সহজে সেবা পেত।’
মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা যদি নারায়ণগঞ্জ জেলাকে একটি বিশেষ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীত করতে পারি তাহলে অনেক ভালো হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা কিন্তু বিশেষ ক্যাটাগরির জন্য যথেষ্ট উপযোগী। এটা হলে আমার কাছে আরো ভাল লাগবে।
আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাই প্রধান উপদেষ্টাকে। কারন তিনি আমাকে বাছাই করে নারায়ণগঞ্জ জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এই নারায়ণগঞ্জে এসে এত ভালো ভালো মানুষ, বড় বড় নের্তৃত্ব, বড় বড় মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে যাদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। নারায়ণগঞ্জকে আমি সারাজীবন মনে রাখবো। এখানের মানুষের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ যে আমাকে কাজ করার জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ দিয়েছেন আপনারা।
সে সময় নারায়ণগঞ্জ জার্নালিস্ট ইউনিটি, কাব্যছন্দ সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা পাঠাগার, ৫০ঊর্ধে কফি হাউজ শেষবেলা ফাউন্ডেশন, সৃজনশীল লেখকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জ, বুবলী যুব কল্যাণ সংস্থা, মায়ের আঁচল সমাজিক মৈত্রী সাহিত্য পরিষদ, বিশ্ব আশেকে হযরত ওয়াজ করোনি (রাঃ) ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা এস,এম,জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ , জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, নারায়ণগঞ্জ রিপোর্টাস ইউনিটিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক নেতা ও সংগঠন, সামজিক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।














