মাগুরা :: দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মাগুরা জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। এই শীতে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেন গরিব অসহায় ছিন্নমূল মানুষ। শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ে তাদের কষ্টও। অসহায় এসব মানুষের কষ্ট লাঘবে কম্বল নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরুন্নাহার।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে তিনি ছুটে যান সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের মাদ্রাসা মুন্নাওয়ারা আল ইসলামিয়া আল খাইরিয়া ও মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসার এতিম, দুস্থ ও গরীব শিক্ষার্থীদে কাছে। এ সময় তিনি শীতার্ত শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দেন।শীতার্ত শিক্ষার্থীরা ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অফিসের দাফতরিক কাজ শেষ করে প্রচন্ড শীতের রাতে কম্বল নিয়ে নিজেই ছুটে যান শীতার্ত মানুষের কাছে। দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে পাওয়া কম্বল নিজে উপস্থিত থেকে বিতরণ করছেন ইউএনও মেহেরুন্নাহার।সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার মাদ্রাসায় গিয়ে অসহায়, এতিম ও গরীব শিক্ষার্থী-মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দিচ্ছেন ইউএনও।
এ বছর চাহিদার তুলনায় শীতবস্ত্রের বরাদ্দ কম কিন্তু দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় প্রকৃত অসহায়, গরিব ও দুস্থদের কাছে কম্বল বিতরণ করতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি। দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া এসব কম্বল পেয়ে হাসি ফুটছে শীতার্ত শিক্ষার্থীদের মুখে।
এই ব্যাপারে মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহেরুন্নাহার বলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে পাওয়া কম্বল আমরা প্রত্যন্ত এলাকার মাদ্রাসায় গিয়ে দুস্থ, এতিম ও গরীব, শিক্ষার্থীদের কম্বল তুলে দিচ্ছি।সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বরদ্দ থেকে পাওয়া কম্বল বিতরণ করা হবে।শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরনের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
গ্রামে প্রকৃত অসহায়দের কাছে কম্বল পৌঁছে দিতে প্রশাসনের এমন মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম এলাকায় প্রশংসার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, একজন নারী প্রশাসক হিসেবে প্রচন্ড শীতের রাতে গ্রামের মাদ্রাসায় গিয়ে কম্বল বিতরণ করা মানবিকতার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।













