জামালপুর প্রতিনিধিঃ সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসের জড়ো হয়। একই সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা অবস্থান নিলে হলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বিসহ কয়েকজন নেতা কলেজের ভেতরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা নিরাপদ দূরত্বে যান।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও শহরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কলেজ রোডে ছাত্রলীগ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা কমিউটার ট্রেনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও কিছুক্ষণ আটকে রাখে। দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে গেটপাড় পর্যন্ত যায়। পরে রেললাইনে অগ্নিসংযোগ করে তারা।
বক্তব্য জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান বাবুকে মুঠোফোনে কল করা হলে ‘মিটিংয়ে আছি’ বলে কেটে দেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি কল রিসিভ করেননি।
জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মুহম্মত কবির জানান, কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
এছাড়া ককটেল বিস্ফোরণ বা আহতের কোনো খবর তিনি পাননি বলে জানান।