মানিকগঞ্জ- খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর শায়খুল হাদিস আহমদ আলী কাসেমী বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার ছিলো ভারতের একধরনের গোলামী সরকার। ভারত গত তিন তিনটি নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নিলর্জ্জ ভাবে সমর্থন করার কারনে ভোটার বিহীন নির্বাচন করে তিন বার অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকার সময় খুন গুম করে মানুষকে আয়না ঘরে নিয়ে নির্যাতন করেছে। আয়না ঘর বাংলাদেশের কোন জেলখানা নয় ! সেটি ছিলো শেখ হাসিনার বিরোধী মতাদর্শকদের দমন করার জন্য এই আয়না ঘর সৃষ্টি করেছিলেন। এই গোপন কুঠুরি থেকে বের হয়ে লোমকহর্ষক বর্ণনা দিচ্ছেন।
রোববার স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার শাসন আমলে সংগঠিত সকল গুম,খুন,গণহত্যা,দূনীতি,লুটপাট অর্থপাচারের বিচারের দাবিতে এবং দেশবিরোধী যড়যন্ত্র,ভারতীয় পানি অগ্রাসন ও অসম পানি বন্টনের প্রতিবদে এবং ১৫ দফা দাবিতে মানিকগঞ্জ খেলাফত মজলিস ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্বের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ছাত্রদের লক্ষ্য করে বলেছিলেন গণভবনের দরজা খুলা আছে, তোমরা আসো আলোচনা হবে। ছাত্রজনতা যখন গণভবনে গেলেন তখন তাঁকে পাওয়া গেলো না।তিনি ভারতে পালিয়ে গেলেন। হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন না।
আওয়ামী-লীগের এমপি মন্ত্রীদের এখন বাটি চালান দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়না। হাসিনার দোসরা গেল কোথায়?আমরা শুনেছি ইতিমধ্যে অনেকেই বিদেশে পারিজমিয়েছেন। কিন্তু যারা দেশে আছে তারা গণধোলাই থেকে বাঁচার জন্য এবং আত্মরক্ষার জন্য আন্ডারগ্রাউন্ডে পালিয়ে আছেঊ। তিনি বলেন, ছাত্র জনতার বিপ্লবের কাজ এখনো শেষ হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদীদেরকে ধরে ধরে আইনের আওতায় না-আনা হবে। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সমাবেশে খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নুরম্নল ইসলাম ফরায়েজির সভাপতিত্বেি বষেশ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সালাহ উদ্দিন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবুবক্কর,যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, জেলা নেতা দেওয়ান আব্দুল হান্নান,যুব মজলিসের জেলা সভাপতি দেওয়ান তানজিল আহাম্মেদ, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি মাওলানা জাবের আল সাফা, জেলা যুব মজলিশের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারম্নক, হরিরামপুর উপজেলা সভাপতি মাওলানা ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
নায়েবে আমীর আহমদ আলী কাসেমী আরো বলেন, যে কোন স্বৈরাচার মনে করে তার চিরদিনের জন্য ক্ষমতায় আসছে সে আর ক্ষমতাচূত্য হবেনা। কিন্তু এবার ছাত্র জনতা সংগ্রাম করে বুকের তাজা রক্ত ঝড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করেছে।তার বক্তব্যে সাবেক স্বরাষ্ট মন্ত্রীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,ছাত্র জনতার স্বাধীনতাকে নসাৎ করতে শেখ হাসিনা দিলিস্নতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি অভিযোগ করে লে ভারত অসময়ে তাদের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়েছে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ শেষে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পূনরায় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।