মফিজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা – রবি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার ৩২৭০ জন কৃষক ৪৩ লাখ ৭১ হাজার ৭১০ টাকার প্রণোদনার বীজ সার পাচ্ছেন। রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সদর উপজেলা চত্বরে কৃষকদের হাতে প্রণোদনার বীজ সার তুলে দিয়ে বিতরণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
প্রণোদনার বীজ সার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) কৃষ্ণ রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিন বিনতে আজিজ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিস মমতাজ।
বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকদের জন্য এ প্রণোদনা কর্মসূচি অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এটি শুধুমাত্র কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নয়, বরং কৃষি অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন,এ প্রণোদনা কর্মসূচি সরকারের কৃষি উন্নয়ন নীতির একটি অংশ, যা কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিন বিনতে আজিজ জানান, সদর উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের ৫০ জন কৃষক ২০ কেজি করে ১ হাজার কেজি গম বীজ, ২ হাজার ৭০০ জন কৃষক ২ কেজি করে ৫ হাজার ৪০০ কেজি ভুট্টা বীজ, ২৭০জন কৃষক ১ কেজি করে ২৭০ কেজি সরিষা বীজ, ৩০ জন কৃষক ১ কেজি করে ৩০ কেজি শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ,৫০ জন কৃষক ৫ কেজি করে ২৫০ কেজি মসুর বীজ, ৫০ জন কৃষক ৫ কেজি করে ২৫০ কেজি শীতকালীন মুগ বীজ ও ১২০ জন কৃষক ২ কেজি করে ২৪০ কেজি অড়হড় প্রণোদনা বীজ পাবেন।
এছাড়া গম উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১ বিঘা চাষের জন্য ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, ভুট্টা উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১ বিঘা চাষের জন্য ২০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার, সরিষা উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১ বিঘা চাষের জন্য ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, শীতকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, শীতকালীন মুগ উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার, মসুর উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি, অড়হড় উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।