জিএম কিবরিয়া- রাজশাহী দুর্গাপুরে ভালো আলুর অতিরিক্ত দামের ফলে পরিত্যক্ত কাটা আলু কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে ভালো আলু নিয়ে ক্রেতার সন্ধানে আলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা।
১ ডিসেম্বর (রবিবার) দুর্গাপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি আলুর বাড়তি দামে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। পাশেই পরিত্যক্ত কাটা আলু সল্প দামে কিনছেন ক্রেতারা। আলুর সিন্ডিকেটে গত পাঁচ বছরের মাঝে সর্বোচ্চ দাম যাচ্ছে বর্তমানে। কিছু কিছু জায়গায় নতুন আলু উঠা শুরু হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। কাটা আলু ক্রেতা বাবলু জানান, ভালো আলুর অনেক দাম, এখান থেকে নিচ্ছি বেছে গুছে খাব। আলুর দাম যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নাই।
পরিত্যক্ত কাটা আলুর বিক্রেতা লুৎফর রহমান জানান, এসব কাটা, ফাটা, বাছনা, আলুর চাহিদা ব্যাপক, কোল্ডস্টোরেজ থেকে আমি শুধু দুই-মন আলু পেয়েছি। মুহুর্তেই তা শেষ হয়ে গেল। ছোট ছোট টুকরো আলু ৩০ টাকা কেজি ও অর্ধেক কাটা আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আলুর দাম অনেক থাকায় সব মানুষ এই কাটা আলু নিচ্ছে।
এদিকে ভালো আলু নিয়ে আলস সময় পার করছেন বিক্রেতা আহাদ আলী তিনি জানান, আলু সিন্ডিকেট ব্যবসার কারণে সর্বোচ্চ দাম উঠেছে। দুই বস্তা আলু বিক্রির জন্য ঢেলে সকাল থেকে বসে আছি বিক্রি হয়নি বললেই চলে। আগে প্রতি-হাটে সাত থেকে আট বস্তা আলু বিক্রি করতাম ভালো লাভ হতো । বর্তমানে ৭৩ টাকা কিনেছি ৭৫ টাকা বিক্রি করছি আলু বিক্রি করে হাজিরার টাকাও উঠছে না। দাম বেশী থাকায় ক্রেতাদের আলুর প্রতি তেমন চাহিদা নেই।
দুর্গাপুরের ক্রেতা সাধারণ জানায়, আলু একটি নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের উদাসীনতায় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়ে ২০ টাকার আলু ৮০ টাকায় কিনতে বাধ্য করছে । এই ৮০ টাকায় যদি কৃষক পেত তাও আমাদের অভিযোগ থাকত না। কৃষকের নিকট হতে ১০ টাকা ২০ টাকা কেজি আলু কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি এই সিন্ডিকেট কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।