আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া -দুর্গাপুর) আসনে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার কে ধানের শীষ প্রতীকে দেখতে চান দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জনসাধারণ।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর গণতন্ত্রের ধারা ফিরে এসেছে বাংলাদেশে । মানুষ মুখিয়ে আছে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের জন্য। সংসদীয় আসনটিতে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছেন তাঁরা। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন, আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার। ইতিমধ্যেই উপজেলা বিএনপির নবীন প্রবীণ নেতাকর্মীদের ভেদাভেদ ও বিভাজন ভুলিয়ে একই প্লাটফর্মে এনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার অসহায় গরীব দুঃখী মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক উন্নয়নমূলক নানা কাজে অংশগ্রহণ করে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী শাসনামলে অসংখ্য নেতাকর্মীকে অর্থিক ও আইনিভাবে সহায়তা প্রদান করেছেন। এলাকার অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান আয়নাল বলেন , আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার সর্বদাই নিঃস্বার্থ ভাবে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের উপকারে কাজ করে চলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজ অর্থায়নে রাস্তাঘাট মেরামত, মসজিদ, মন্দির নির্মানে সহযোগীতা, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা, কন্যাদায় গ্রস্থ পিতাকে কন্যার বিয়েতে সহযোগীতা প্রদান, অসহায় পঙ্গু ব্যক্তিদের জন্য হুইল চেয়ার, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ,
আর্থিকভাবে অসচ্ছল দলীয় নেতা কর্মীদের স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে গরু, ছাগল সহ নানা গৃহপালিত পশু উপহার দিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মী থেকে সাধারণ জনগণ সকলেই আব্দুস সাত্তার এর সাথে কাজ করে চলেছেন। বিএনপির মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন ইনশাআল্লাহ।
দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র সাইদুর রহমান( মন্টু) জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে দুর্গাপুর উপজেলা থেকে এমপি প্রত্যাশী প্রার্থী পায়নি দুর্গাপুর। এই প্রথম একজন প্রার্থীকে পেয়েছে সেই কারণেই এলাকার জনসাধারণ, উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী আব্দুস সাত্তারকে মনে প্রাণে গ্রহণ করেছে এবং প্রার্থী হিসেবে হাই কমান্ড তাকে নমিনেশন দেয় এই আশা রেখে আব্দুস সাত্তার কে সহযোগিতা করছেন নেতা কর্মীরা।
রাজশাহীর ৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব আহম্মদ আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য থেকে সর্বদা জনগণের পাশে থেকেছি তাদের সহযোগিতা করেছি।অবহেলিত, গরীব-দুঃখী, অভাবী অসহায় মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করছি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাঁর ১৯ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সল্প সময়ে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছিলেন। যার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি’র জন্ম লগ্ন থেকে আজ অব্দি আদর্শিক কর্মী হিসেবে কাজ করে চলেছি। সেজন্যই আমি ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী। নির্বাচিত হলে আমি দুর্গাপুর পুঠিয়ার খেটে খাওয়া অবহেলিত মানুষের জীবন মান উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, টেকনিক্যাল শিক্ষার বিস্তার, বেকার সমস্যার সমাধান, এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপনসহ এলাকার উন্নয়ন ও শান্তির লক্ষ্যে সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।