আবু বকর :: চাঁদাবাজি নিয়ে জামায়াত নেতারা অভিযোগ করায় ঢাকা উত্তর সিটি সিটির গণশুনানিতে বি এন পি নেতা মিজান, আমীরের নেতৃত্বে জামায়াত নেতা মোস্তফা মাহমুদকে লান্থিত করেছে তারা।
আজ রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে বিশিষ্ট নাগরিক ও সম্মানিত নগরবাসীর সাথে এক গণশুনানি ও মতবিনিময় সভায় উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। সভার সময় জামায়াত নেতা মোস্তাক আহমদ মাহমুদের উপর প্রকাশ্যে হামলা চালানো হয়।
সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ এজাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে নগরবাসীর নানা সমস্যা, নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করা হচ্ছিল। মোস্তাক আহমদ মাহমুদ তার নিজের পরিচয় দিয়ে এলাকার জলাবদ্ধতা, রাস্তার বেহাল দশা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবনতি নিয়ে স্পষ্টভাবে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্য চলাকালীন হঠাৎ করে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মিজানুর রহমান ও আমির হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে এবং শারীরিকভাবে হামলা চালায়।
এই হামলার পর সভায় উপস্থিত নাগরিকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সাময়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “গণশুনানি একটি নাগরিক অধিকার এবং এখানে সব রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ নিজস্ব বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন। এই ধরণের সহিংসতা আমাদের গণতান্ত্রিক চর্চাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
হামলার শিকার মোস্তাক আহমদ মাহমুদ বলেন, “আমি শান্তিপূর্ণভাবে নাগরিক সমস্যা তুলে ধরছিলাম। অথচ পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।”
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক সহনশীলতা কমে যাওয়ায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।