শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও :: ঠাকুরগাঁওয়ে বড় মসজিদ নামে পরিচিত (কাচারী জামে মসজিদ)মসজিদের পুনঃর্র্নিমাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ (২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার)সকাল সাড়ে ১০ টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই মসজিদের পুনঃর্র্নিমাণ কাজের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মসজিদের পুনর্র্নিমাণ কাজের উদ্বোধনকালে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মসজিদ নির্মাণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন করেন মির্জা ফখরুল।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার রয়েছে। রুলার সরকার না থাকায় ব্যবসায়ীরা যারা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মতো খাতে সাধারণত সহায়তা করে থাকেন, তারা নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছেন। ফলে এই মসজিদের পুনর্র্নিমাণে অর্থ সংগ্রহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।তবে এ চ্যালেঞ্জ সত্তেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যেহেতু এটি আল্লাহর ঘরের কাজ, আল্লাহর সাহায্যেই আমরা এ কাজ শেষ করতে পারবো।’
প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়তলা বিশিষ্ঠ পুনঃর্র্নিমাণ হতে যাওয়া ঠাকুরগাঁও শহরের ঐতিহাসিক কাচারী জামে মসজিদটি নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন ফখরুল। ‘আমি যখন ঠাকুরগাঁও হাই স্কুলে পড়তাম, তখন ছাত্র হিসেবে এই মসজিদেও প্রথম নির্মাণকাজে অংশ নিই। আমরা নিজের হাতে ইট টেনেছি, বস্তা তৈরি করেছি। আজকে সেই মসজিদের পুনর্র্নিমাণে দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি বলেন তিনি।
দেশের আর্থিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবুও আমি আশাবাদী, মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ কাজ শেষ করা সম্ভব। কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ পরামর্শ বা বুদ্ধি দিয়ে যেভাবে পারেন যেন এই ইবাদতের কাজে অংশ নেন। তিনি আরও বলেন, ‘এই কাজ শুধু একটি স্থাপনা নির্মাণ নয় এটি মানুষের বিশ্বাস, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত।
ফখরুল স্মরণ করেন, ‘তৎকালীন সময়ে মির্জা রুহুল আমিন, মির্জা সাদিকুল ইসলাম ও মাওলানা তুমিজ উদ্দিনসহ অনেকেই এই মসজিদের প্রথম নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। তাঁদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মসজিদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক চৌধুরী, নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক ডা. আবু খায়রুল কবির, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোদাসের হোসেন, শিক্ষাবিদ হাফেজ মাওলানা মো. রশিদ আলম আব্দুস সালাম এবং মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মো. খলিলুর রহমান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্মাণ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মসজিদটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হবে, যাতে একসঙ্গে হাজারো মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্থানীয়, প্রবাসী ও ব্যবসায়ী সমাজের সহায়তা প্রত্যাশা করা হয়েছে।