স্বয়ংক্রিয় খাদ্য সরবরাহকারী রোবট “করঃর” উদ্ভাবন করল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের
শিক্ষার্থীরা। স্বয়ংক্রিয় খাদ্য সরবরাহ হলো একটি আধুনিক ব্যবস্থা যেখানে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য মানুষের প্রয়োজন হয় না। এই কাজে একটি স্বয়ংচালিত রোবট ব্যবহৃত হয় যা নিজে নিজে চলতে পারে এবং সরাসরি গ্রাহকের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়। রোবটটিতে ক্যামেরা, সেন্সর এবং ন্যাভিগেশন সিস্টেম থাকে যা পরিবেশ বোঝে। এটি জিপিএস এবং মানচিত্র ব্যবহার করে নির্ধারিত পথে চলে। এটি পথের মানুষ, গাড়ি এবং অন্যান্য বাধা এড়িয়ে যায়। এই ব্যবস্থা মূলত খাবার ডেলিভারির জন্য তৈরি, অর্থাৎ রেস্টুরেন্ট বা রান্নাঘর থেকে গ্রাহকের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার শেষ ধাপের জন্য। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, আবাসিক এলাকা এবং ব্যবসায়িক এলাকায় এই রোবট ব্যবহার করা হয়।
১৮ আগস্ট সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আমিনুল ইসলাম হলে ফ্যাকাল্টি অব গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে এ রোবটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আর কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফ্যাকাল্টি অব গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কবিরুল ইসলাম , ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শক (পেটেন্ট) ড. মোঃ জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের উপপরিচালক (পেটেন্ট) হাবিবুর রহমান ও “করঃর” এর উদ্ভবক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হাফিজুল ইমরান।
হাফিজুল ইমরান বলেন, আমাদের তৈরি রোবটের নাম করঃর। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় খাদ্য সরবরাহ রোবট। এটি তৈরি করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এই রোবট তৈরির যাত্রা শুরু হয় ২০২২ সালে। বর্তমানে এটি ঠবৎংরড়হ ১ আকারে তৈরি হয়েছে। করঃর তৈরি করা হয়েছে মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং আবাসিক এলাকার খাবার সরবরাহের জন্য।
ক্যাপশনঃ বাংলাদেশ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আর কবির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্ভাবিত স্বয়ংক্রিয় খাদ্য সরবরাহকারী রোবট “করঃর” এর পেটেন্ট ডেভেলাপমেন্ট এওয়ার্ড ও সার্টিফিকেট এর উদ্ভবাবক হাফিজুল ইমরান ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. ইমরান মাহামুদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।