মশিউর রহমান খান, জয়পুরহাট :: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাতা, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবিতে ঢাকায় চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে জয়পুরহাটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জয়পুরহাট জেলা কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট বিএম আই কলেজের অধ্যক্ষ ও সমিতির সভাপতি এ কে এম মুসা এবং সঞ্চালনা করেন জয়পুরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন মণ্ডল।
বক্তারা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাদের মৌলিক জীবনধারা বজায় রাখতে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতার দাবিগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা জরুরি।”
তারা আরও বলেন, “জাতি গঠনের কারিগরদের প্রতি সম্মান জানাতে হলে সরকারের উচিত শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া।” উক্ত মানববন্ধনে বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন শিক্ষকদের সাথে একত্মতা প্রকাশ করে দাবি মানিয়ে নেওয়ার পক্ষে বিবৃতি দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উত্তর জয়পুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, “দেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত। অথচ জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় থেকেও শিক্ষকরা মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাতা পান। প্রারম্ভিক স্কেলে বেতন ১২,৫০০ টাকা হলেও সেখান থেকে ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। তিনি জাতীয় পর্যায়ের ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এনটিআরসিএ-এর মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে চাকরি করতে হওয়ায় শিক্ষকদের ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ, কিন্তু ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে। এক হাজার টাকায় আজ একটি ছোট কুঁড়েঘরেও থাকা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। তাই সরকারের উচিত দ্রুত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে বন্ধ শ্রেণি কার্যক্রম পুনরায় চালু করা।”
মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে জয়পুরহাট জেলার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।