শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও :: উত্তরের অবহেলিত সীমান্ত ঘেষা জেলা ঠাকুরগাঁও ।আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি জেলার গ্রামের মানুষের। ইতি পূবে যে সকল উন্নয়ন মূলক কাজ এ জেলার চালু হওয়ার কথা ছিল নির্বাচিত সরকারের না থাকায় তা যেন থমকে গেছে।
জানা যায় যে, জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ যেমন,বিভিন্ন রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভাটর্, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন কাজের কোন উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি নেই । চার লেনে উন্নীতকরণ ও সংস্কার হচ্ছে না জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোর, সংস্কার ও আধুনিকায়ন হয়নি কৃষকের সেচ সুবিধা একমাত্র মাধ্যম গভীর নলকূপ গুলোর, জেলায় নেই কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, চালু হয়নি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত অঞ্চলের এখোনো,সংস্কার হয়নি বিসিক শিল্পনগরীর,স্থাপিত হয়নি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও যানযট নিরসনে নেই কোন বাইপাস সড়ক যা জেলার জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ।
চালু হয়নি বৃহত্তর দিনাজপুর (দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়)জেলা সমন্বিত গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।
,ঠাকুরগাঁও একটি সীমান্তবর্তী জেলা। এর তিন দিকে রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত। সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে আলোচ্য প্রকল্প খুবই প্রাসঙ্গিক।বিগত ২০ বছরে ঠাকুরগাঁও জেলায় উল্লেখযোগ্য কোন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। বেহাল রাস্তা-ঘাট এবং হাট-বাজারের উন্নয়নে উক্ত প্রকল্পের কোন বিকল্প নেই। ঠাকুরগাঁও জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র ৃৃগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে কোন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জীবনমান উন্নয়নসহ সমাজের মূল ধারায় আনায়নে এই প্রকল্পের গুরুত্ব অপরিসীম।
য়েখানে সারা বাংলাদেশে রাস্তা উন্নয়নের গড় হার ৪১%, অথচ ঠাকুরগাঁও জেলায় সে হার ৩০% এর কম। এই বিবেচনায় জেলার সার্বিক উন্নয়নে উক্ত প্রকল্পটি একান্তভাবে আবশ্যক। তাও গ্রহন করা হয়নি।
জেলার পানি সরবরাহ জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ পরিবার পাইপড পানি সুবিধা পায়। নিরাপদ পানি নিশ্চিতে পাইপলাইন ও ওভারহেড ট্যাংক স্থাপন এখন ও হয়নি। জেলায় তেমন স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই, পৌর এলাকার এক্সক্রেটার মাত্র ২৮ শতাংশ নিরাপদে ব্যবস্থাপিত হয়। বাকি অংশ অনিরাপদ থাকায় স্কুলভিত্তিক ওয়াশ ব্লক ও নতুন পাবলিক টয়লেট অত্যন্ত জরুরি। নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু, বর্তমানে ৯২ শতাংশ স্লাজ ম্যানুয়ালি খালি করা হয়। আধুনিক মেকানিক্যাল স্লাজ কালেকশন সিস্টেম চালু করা না হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।
হাইজিন শিক্ষা একক পিট মাত্র ১–২ বছরে পূর্ণ হয়ে যায়, অথচ সঠিকভাবে খালি করা হয় না। এজন্য হাত ধোয়া, ল্যাট্রিন ব্যবহার ও মেনস্ট্রুয়াল হাইজিনে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
মনিটরিং ব্যবস্থা, পানি মান পরীক্ষাগার ও জিআইএস–ভিত্তিক ওয়াশ মানচিত্র নেই। মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাব ও ডিজিটাল ম্যাপিং চালু করা জরুরি।
বিশেষ উদ্যোগে সীমান্ত অঞ্চল, হাসপাতাল ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও ওয়াশ সুবিধা সম্প্রসারণ এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাও নেই।
ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন ব্যাক্তি মোঃ নজরুল ইসলাম,মেহেদী হাসান,আবদুর রহমান সহ অনেকেই বলেন, জেলার মানুষের ভাগ্য বদলাতে উন্নয়ের স্বার্থে , মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন, খাদ্য প্রক্রিয়া অঞ্চল দ্রুত চালু , গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ মহাসড়ক , রুহিয়া সড়ক ও ঠাকুরগাঁও -পঞ্চগড় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করন ।গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প চালু সহ সব উ উন্নয়নমূলক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রসাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, মেডিকেল কলেজ স্থাপন,বিমানবন্দর চালু সহ সকল উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।