ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় থেকে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ উদ্ধারের নামে স্থানীয়ভাবে ‘মব সৃষ্টি’ করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে সার ও বীজগুলো সেখানে রাখা হয়েছিল।
উপরোক্ত সার-বীজগুলো উপজেলা থেকে ৩০ জন প্রকৃত কৃষককে দেয়া হয়েছে। বীজগুলো তারা বাসায় নিয়ে গেছে এবং রাত হয়ে যাওয়ার কারনে সারগুলো ইউনিয়ন অফিসে রেখে যায় পরের দিন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো।
তবে শুক্রবার রাত্রে স্থানীয় বিএনপির কিছু ‘কুচক্রী নেতার যোগসাজশে’ মধ্যরাতে কিছু স্থানীয় সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জামায়াত কর্মীদের অসততা প্রমাণের জন্য মব সৃষ্টি করে সার উদ্ধারের নাটক তৈরি করেছে। এই ঘটনা গণমাধ্যমেও সমানভাবে প্রচারিত হচ্ছে আমরা এর জোর প্রতিবাদ করছি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক সংগঠন। যেই সংগঠন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যে সুরাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি’র কিছু সন্ত্রাসী লোকজন আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সাথে নিয়ে এই মব তৈরী করেছে। যারা এই মব তৈরী করেছে তারা নিজেরাই জনগনের সম্পদ চুরি করে আত্মসাৎ করে। যার অনেক দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে রয়েছে। যারা চাদাবাজি, জবরদখল, লুট-তরাজ, জুলুম-অত্যাচারসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত, তারাই জামায়াতের বিরুদ্ধে এইসব ভূয়া অপবাদ দিচ্ছে, এটা হস্যকর ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা।
পরিমাণ নিয়ে বিতর্ক :
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘বিপুল পরিমাণ’ সার ও বীজ উদ্ধারের কথা প্রচারিত হলেও, মাত্র সাত প্যাকেট সরিষার ও মসুরির বীজ এবং চার বস্তা সার সেখানে রেখে গিয়েছিলো কৃষকরা এবং রাত হয়ে যাওয়ার কারনে পরের দিন তাঁরা নিয়ে যাবে।
৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী জামায়াতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। যার কারনে সূরাট ইউনিয়নের বিএনপির সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, লুটতরাজে নিয়োজিত লোকেরা আদর্শিকভাবে জামায়াতকে মোকাবেলা করতে না পেরে ভিন্ন পন্থায় জামায়াতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গতকালকে সুরাটের এই ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। আমরা উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
পরিশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল ও আমানতদার সংগঠন। যার অসংখ্য নজির সমাজ ও রাষ্ট্রে বিরাজমান। জনগণের আমানত জামায়াতের কাছে নিরাপদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিমাসে মানবতার কল্যানে লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করে থাকে। সামান্য এই কয় টাকার মাল আত্মসাৎ করবে এটা একেবারেই হাস্যকর।













