নিজস্ব প্রতিবেদক:: রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী পরিবর্তন ও জনসমর্থিত যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রদানের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন মনোনয়ন
প্রত্যাশী জালফার নাইম মোস্তফা, ইসফা খাইরুল হক শিমুল ও আবু বক্কর সিদ্দিকের কর্মী, সমর্থকেরা।
৯ নভেম্বর (রবিবার) বিকাল ৪ টার দিকে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমাজ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৩ মনোনয়ন প্রত্যাশীর সমর্থকেরা ভিন্ন বক্তব্য পাঠ করেন।
জুলফার নাইম মোস্তফা সমর্থকেরা বলেন, ১৯৯৬ সাল পরবর্তী সময়ে বিএনপির বেদখলে থাকা রাজশাহী ৫ আসনটি উদ্ধারে মনোনয়ন পান রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মরহুম অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা। তিনি কঠিন প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করেন। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি থেকে পুনরায় মনোনীত হয়ে বিপুল ভোটে বিজয় হয়েছিলেন। এ সময় সাংগঠনিক সকল দায়িত্ব সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সাল পরবর্তী এক ১১ সরকারের সময় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও রায়ের মাধ্যমে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট মাফিয়া আওয়ামী লীগ সরকারে বিরুদ্ধে ব্যপক আন্দোলন পরিচালনা করেন। গত ৩০ জুন ২০২৪ সালে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ নাদিম মোস্তফার সন্তান জুলফার নাঈম মোস্তফা পিতার অনুসারীদের অভিভাবকে পরিনত হন।
এমত অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে মৃত এমপি মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যদের মনোনয়ন এর মাধ্যমে দল মূল্যায়ন করলেও সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও মরহুম এমপি নাদিম মোস্তফার পরিবারের ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটেছে । পক্ষান্তরে জনবিচ্ছিন্ন মামলা হামলা না থাকা সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল এর নাম দেখা গেছে। পুঠিয়া দুর্গাপুরের সর্বস্তরের বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মাঝে এনিয়ে হতাশা দেখা গিয়েছে। এই অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল ১৯৮৯ সালে বিএনপি থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে , চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ক্ষমতার লোভে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মরহুম অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফাকে ফেল করানোর উদ্দেশ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে টেলিভিশন প্রতীকের ভোট করে পরাজিত হন। ২০১৮ সালে দল থেকে নাদিম মোস্তাফা-কে নমিনেশন দিলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাক্তার মনসুর রহমানের সহযোগিতায় ফ্যাসিস্ট ক্যাঙ্গারু কোর্টের সহযোগিতায় রায়ের মাধ্যমে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিজের পক্ষে নেন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দল থেকে শোকজ হন। এমত অবস্থায় রাজশাহী ৫ আসনটি পূর্ণ বিবেচনা করে মরহুম এডভোকেট নাদিম মোস্তফার সন্তান জুলফার নাঈম মোস্তফা কে মনোনয়ন দিয়ে পুঠিয়া দুর্গাপুর জন আকাঙ্খা পূরণের দাবি করেন।
ইসফা খাইরুল হক শিমুলের সমর্থকরা বলেন,
গত তিন নভেম্বর বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডলের নাম ঘোষণা পর থেকে দুই উপজেলা ২৩টি ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের বিএনপির সমর্থক নেতাকর্মী, জনসাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। দীর্ঘ ১৭ বছর আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের মিথ্যা মামলা হামলা নির্যাতন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বিশিষ্ট সফল উদ্যোক্তা বিএনপির রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান খাইরুল হক শিমুল। উনার পিতা মানুষের বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। উনার বড় ভাই পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য সচিব। তিনি অসহায় দুস্থ বিপর্যস্ত নেতাকর্মীদের পাশে সব সময় থেকেছেন। নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা বানোয়াট নাশকতার মামলায় প্রায় ২০০ জনকে কারামুক্ত করতে ভূমিকা রাখেন। এছাড়া দলীয় ঘোষিত সকল প্রোগ্রাম বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য ছাত্রদল যুবদল বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। তিনি দলের শৃঙ্খলা মেনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন ২০১৮ সালের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেলেও দলীয় সিদ্ধান্তের সম্মান রেখে দলীয় প্রার্থীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। সম্ভাব্য মনোনীত অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডলকে মনোনয়ন বাতিল করে। এই আসনের সবথেকে জনপ্রিয় প্রার্থী ইসফা খাইরুল হক শিমুলকে মনোনয়ন দেয়া হোক।
আবু বক্কর সিদ্দিকের সমর্থকেরা বলেন, বিগত আওয়ামী সরকার আমলে আবু বকর সিদ্দিকীর নামে প্রায় দেড় ডজন মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। তিনি ১১ বার কারাবরণ করেছেন। পুঠিয়া দুর্গাপুরে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডলী বিরুদ্ধে বিগত ১৭ বছর কোন মামলা হামলার শিকার হয়নি। এতে প্রতিমান হয় যে, বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে দলীয়ভাবে ও জনসাধারণের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডলের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে সৎ যোগ্য নির্যাতিত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা আবু বক্কর সিদ্দিককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি , এস. এম আকবর আ আলী বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি , আঃ আজিজ মন্ডল,
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আঃ সামাদ, পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক, অধ্যাপক সোহেল রানা সেলিম, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মাইসুল ইসলাম রন্জু,পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক , মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমন আহমেদ সুমন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মোঃ নুরুল ইসলাম, বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,মোঃ পলান আলী সরদার, মাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি , মোঃ মমিন মৃধা, মাড়িয়ে ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি,মোঃ নাজমুল হোদা
মাড়িয়ে ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি
আব্দুল গাফফার, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক চয়েন উদ্দিন শেখ, পুঠিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক , নাজমুল হোদা, উপজেলা উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরমান কোবির সুজন, পুঠিয়া পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান সহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।












