আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচীকে ঘিরে ঢাকার পাশের জেলা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নারায়ণগঞ্জে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ বাহিনী সহ জেলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে এখানকার জনবহুল ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে এখন থেকেই নজরদারী চালাচ্ছে তারা।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সমন্বয় করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা,কোন প্রকার মিছিল সহ জ্বালাও পুরাও এর মতন ঘটনা ঘটাতে না পারে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সবগুলি থানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে লকডাউনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার জন্য। জেলার প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সদর মডেল থানা পুলিশ গত দু-দিনে আওয়ামীলীগের প্রায় ৯ জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানায় আটক হয়েছে আরো অনেকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে শহরের সড়কগুলোতে পুলিশের চেকপোষ্ট ও তল্লাশি বড়ানো হয়েছে।
প্রতিটি থানায় জেলা পুলিশ সুপারের কঠোর নির্দেশনায় প্রতিদিন অভিযান চলছে। বিশেষ করে রাতে আমাদের কার্যক্রম বেশি চলছে। নারায়ণগঞ্জ শহর যেহেতু বাণিজ্যিক শহর সেজন্য আমরা একটু বেশি সতর্ক। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। স্থানীয় সবকটি রাজনৈতিক দল এই কাজে আমাদের সহযোগীতা করছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ দিয়ে চেষ্টা করছি যাতে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। নারায়ণগঞ্জ যেহেতু বাণিজ্যিক শহর তাই এখানে আমাদের দায়িত্বটাও বেশি। লকডাউনকে কেন্দ্র করে জেলার আইন-শৃঙ্খলা সকল বাহিনী পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহীনি সবাই কাজ করছে। কেউ নাশকতা বা অন্য কিছু করতে চাইলে তাদের ছাড় দেয়া হবেনা।













