রাজশাহী:: রাজশাহীর দুর্গাপুরে অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন প্রকল্প (২ য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ২০ জন কৃষকের মাঝে বিভিন্ন সবজির বীজ, গাছের চারা, ভার্মি কম্পোস্ট, জৈব সার, নেট, ঝাঁজরি,বীজ সংরক্ষণের কৌটা সরবরাহ করা হয়েছে।
অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পুষ্টি বাগান গড়ার মাধ্যমে পরিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণসহ নারীদের বারতি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি লক্ষ্যে ২৪ নভেম্বর (সোমবার) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে থেকে এ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
উক্ত বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সাহানা পারভীন লাবনী, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, মোঃ ফরিদ হোসাইন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুর রহমান প্রমুখ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

উপকার ভোগী মোছাঃ তাহমিনা আক্তার বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরির লক্ষে সবকিছু সরবরাহ করেছে।
নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছে। আমার বাড়ির সামনে অনাবাদি জমি পরিষ্কার করেছি পুষ্টি বাগান তৈরি করার জন্য । এ থেকে উৎপাদিত ফসল পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরেও বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সাহানা পারভীন লাবনী জানান, এই প্রকল্পটির আওতায় গ্রামের মানুষ বসতবাড়ির অঙ্গিনা , পুকুর ও খালের পাড়, বাড়ির আশপাশ, স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমিতে শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করবেন। এতে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। একজন কৃষক সারা বছরই খামার থেকে কিছু না কিছু পাবেনই। কখনো সবজি থাকবে, আবার কখনো ফল থাকবে । এবং কৃষকদের আরো উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্প হতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বসত বাড়ির আঙ্গিনা বা নিকটস্থ পতিত জমির ব্যবহার করে শাক-সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে স্বল্প খরচ ও শ্রমে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারবে।














