১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তানি বাহিনী যখন বুঝতে সক্ষম যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা নবগঠিত দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল এবং পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর-বাহিনী বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক—তথা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ নিজ গৃহ হতে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে! স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার এই পরিকল্পিত গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, একাত্তরের মার্চ মাসের মধ্যরাত থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু হয় এবং চলে নাড়ে নয় মাসব্যাপী—যার চূড়ান্তরূপ ১৪ ডিসেম্বর। ১৪ ডিসেম্বরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর ন্যায় আজও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পক্ষে নেত্রকোণার কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংবলিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের প্রতি সম্মানপ্রদর্শন ও স্মরণার্থে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়।