মোঃ সানাউল্লাহ রিয়াদ, বরগুনা ::
কোনো ধরনের তদবির কিংবা ঘুষ ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকার আবেদন ফিতে এবং সঠিক যোগ্যতায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন বরগুনা জেলার ১২ জন তরুণ।
শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের এ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছেন বরগুনা পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম খলিল। তার সাথে এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বরিশাল থেকে আগত পুলিশের দুই উর্ধ্বজনক কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুর ও সিনিয়র পুলিশ সুপার আফজাল।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকাল ৪ টার দিকে বরগুনা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে ট্রেনি রিক্রুট পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে চাকুরিপ্রাপ্ত ১২জনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় অপেক্ষমান রাখা হয় দুইজনকে।
কোন ধরনের অবৈধ পথ ব্যতি রেখেই সুন্দর ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়ে আনন্দের ঢল নেমেছে সদ্য চাকরি প্রাপ্তদের পরিবারে।
জানা গেছে- মোট ১২ টি পদের বিপরীতে বরগুনা জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ৪৮৮ জন মাঠ করেন। শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই শেষে ১৮৪ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাত্র ২০ জন কৃতকার্য হয়। পরে এদের মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে ১২ জন পুরুষ কনস্টেবল প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে অপেক্ষমান রাখা হয়েছে আরো দুইজনকে। এর মধ্যে মেধার বিপক্ষে গিয়ে কাউকে কৃতকার্য হতে দেখা যায়নি।
নির্বাচিত ১২ প্রার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন পুলিশ সুপার। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়া বেশিরভাগ সদস্যরা প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান। মাত্র ১২০ টাকা ব্যাংক ড্রাফের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত প্রাথমিকভাবে চাকরি প্রাপ্তরা।
সদ্য চাকরি পাওয়া কয়েকজন বলেন, আজকাল টাকা-পয়সা ছাড়া চাকরি পাওয়া কঠিন। সেখানে আমরা মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি দিয়ে চাকরি পেয়েছি। মেধা, যোগ্যতা অনুযায়ী ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বরগুনায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল বলেন, মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে বরগুনায় পুলিশে চাকরি পেয়েছে ১২ জন। শতভাগ স্বচ্ছতা ও যার যার যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন তারা। আমি আশা রাখি তারা বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে।