শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও :: ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের চৌরঙ্গী কালির হাট ঘাটে তিরনই নদীতে সেতুর অভাবে অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার বালিয়াডাঙ্গী ও রাণিশংকৈল উপজেলার পনের গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ও নদীর আশে পাশে বসবাসরত বসিন্দারা।এতে চরম দূভোগের শিকার হচ্ছেন।খরা মৌসুমে বাসের সাঁকো দিয়ে পার হেটে পার হওয়া গেলেও কোন যান বাহন চালানো যায়না ।বর্ষা মৌসুমে হেটেও পার হওয়া সম্ভব হয়না। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,বছরে পর বছর ধরে তারা বাশেঁর সাকো ও নৌকা ও পানিতে ভিজে নদী পার হচ্ছেন। বার বার সেতুটি নির্মানের কথা থাকলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।এতে জীবনের ঝুঁকি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ভানোর, বড় পলাশবাড়ী, দুওসুও ইউনিয়ন উপজেলার প্রায় ১২-১৫ গ্রামের প্রায় ৫০হাজার মানুষ।
স্থানীয়দের কাছথেকে আরো জানা যায় যে দুওসুও এবং পলাশবাড়ি ইউনিয়নে চৌরঙ্গী কালির হাট রাস্তায় মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে তিরনই নদী। এই নদীতে সেতু নির্মান না হওয়ায় কয়েক গ্রামের ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন কাজে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাদের মৌলিক চাহিদা মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে, কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাষাবাদ করা, ফসলি জমির সার ওষুধ পরিবহনে অসুবিধা, জমির ফসল ক্রয়-বিক্রয়ে অসুবিধা, শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠ গ্রহণে অসুবিধা, মামলা ও অন্যান্য কাজে শহরে যাতায়াত, এ ছাড়া অসুস্থ লোকজনকে দ্রুত চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হতে হচ্ছে। যারা এই ঘাটে সেতু না থাকায় তাদের জীবনও ঝুঁকিতে। তাই স্থানীয়রা, গ্রামবাসীদের কষ্টলাঘব ও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে দ্রুত সেতুটি নির্মানের দাবী জানিয়েছেন।
যুগ যুগ ধরে কোনো প্রয়োজনে নদীর পশ্চিম থেকে পূর্ব পাশে আসতে হলে তাদের নদীতে ভিজে পার হয়ে আসতে হয়। নদীতে কোনো বাঁশের সাঁকো থাকায় শুষ্ক মৌসুমে তাদেরকে হাঁটুপানি পার হয়ে হেটে আসতে হয়।কিন্তু কোন যান চলাচল করতে পারে ন॥ আবার বর্ষা মৌসুমে তাদের প্রায় ৭-৮ কিমি ঘুরে আসতে হয় ।
বিশেষ করে গ্রামের কৃষক ও শিক্ষার্থীদের নদীর পূর্ব পাশে বাদামবাড়ি হাট,চৌরঙ্গি হাট,নেকমরদ হাট জি,সি,গান্ডীগাড়ী হাট, ধনীর হাট, বলিয়াডাঙ্গী সমীর উদিন কলেজ,সরকারি কলেজ ও জেলার ভালো স্কুল-কলেজগুলোতে,র্কোট ও থাানায় আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের। আবার নদীর পূর্ব পার্শে রয়েছে নেকমরদ বাজার। ওই গ্রামের মানুষের অধিকাংশই ফসলি জমি ও আম বাগান রয়েছে নদীর পশ্চির্ম পাশে। নদীতে সেতু না থাকায় ওই ফসলি জমিগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাষাবাদ করতে পারে না, তারা।আবার উৎপাদিত ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতেও হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া নদীর পশ্চিম তীরের কোনো বাজার বা হাট না থাকায় তাঁরা পূর্ব তীরে হাটবাজারের ওপর নির্ভরশীল। নদীর পূর্বপাশে বাজার না থাকায় নদীর পূর্ব পারের পালপারা পুর গ্রামের লোকজন তাদের উৎপাদিত ফসল ঠিকমত বাজারে বিক্রি করতে না পেরে ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধপত্র এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে না পেরে পূর্ব তীরের মানুষ খুব কষ্টে দিনযাপন করছে। নদী পারাপার হয়ে চার ইউনিয়ন কয়েক গ্রামের মানুষ প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিনের এ কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে গ্রামবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কাছে বহুবার সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে কিন্তু আশার আলো দেখেিেন।
গান্ডীগাড়ী এলাকার সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোঃ মোতালেব হোসেন,কৃষক মোঃ আ.করিম্ , আ.রাাজ্জাক জানান, স্বানধীনতার পর থেকেই এই বাঁশের সাঁকোই ছিল একমাত্র ভরসা।
এই একটি সাকোঁই কযেক গ্রামের মানষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কিন্তু বর্ষা এলে সেই সাঁকো ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যায়।নদীটি নিচু হওয়ায় কোন ভাবেই নদীর মধ্য দিয়ে আমাদের কৃষি পণ্য পরিবহন করে আড়তে কেনা বেচা করতে পারছিনা। কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাষাবাদ করা, ফসলি জমির সার ওষুধ পরিবহনে অসুবিধা, জমির ফসল ক্রয়-বিক্রয়ে অসুবিধা, শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠ গ্রহণে অসুবিধা, এ ছাড়া অসুস্থ লোকজনকে দ্রুত চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
কিসমত পলাশবাড়ী কালির ঘাট এলাকার ইশার আলী নামে এক প্রবিণ জানান গ্রামে নদীতে সেতু না থাকায় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে আমরা। নেতারা আসেন ছবি তুলেন বলো এবার সেতু হবেই । সম্প্রতি উপষ্টো আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বালিয়াডাঙ্গীতে আসে এই গান্ডীগাড়ী তিরনই নদীর কালির ঘাটটি পরিদর্শনে আসে এখানে দ্রুত সেতু নির্মানের আশ্বাস দেন গ্রামবাসীদের। কিনÍু এ্খনো আশার আলো ফুটেনি।। কত ভোট চলে কেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করল না।নদীর পশ্চিমপার্শে আমাদের সব আবাদী জমি।বিশেষ বর্ষা মৌসুমে কৃষিকাজে পন্য পরিবহনও শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রতিনিয়ত নদীতে ভিজে পার হয়ে কাজ করতে হয়।
সেতু না থাকায় দুপারের মানুষের কষ্টের শেষ নেই। তারা উৎপাদিত ফসল সময়মতো ঘরে তুলতে পারে না আবার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। গ্রাামবাসীদের। তাই আমারা দ্রুত সেতুটি নির্মানের ব্যাপারে কতৃপক্ষের সূদষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী এলজিইডির উপজেলাা প্রকৌশলী মোঃ মাইনুল ইসলাম বলেন,সেতুর অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিয়ে নদীতে চলাচল করতে গিয়ে মানুষরা যে দূর্ভোগ পোহাতে হয় তা বলে বোঝানো যায় না। স্থানীয়দের আবেদনের পেক্ষিতে উপজেলার পক্ষ থেকে থেকে বারবার সেতুটি নির্মান করার জন্য কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে,কিন্তু সারা মিলছে না।
এ বিষয়ে জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন বিশ্বাস বলেন,বালিযয়াডাঙ্গীর তিরনই নদীর কালির ঘাটটি গূরুত্বপূর্ণ। সেখানে উপষ্টো আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ঘাটটি পরিদর্শন করেছেন।ঘাটটিতে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।অনুমোদন হয়ে এলে সেতুটি নির্মিত হবে।