মোঃ সানাউল্লাহ রিয়াদ, বরগুনা :: প্রতিনিয়ত নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন খাবার তৈরিতে সচেতনতামূলক সভা ও সেমিনার করছে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরগুলো। তবুও যেন সচেতনতার বালাই নেই এসকল ব্যবসায়ীদের মধ্যে। যে খাবারটি ছোট-বড় সকলেই গ্রহণ করছে, অথচ সেই খাবারে ভেজাল আর গুনগত মানের অভাব। খাদ্যে মেশাচ্ছে সবথেকে ক্ষতিকারক দ্রব্যগুলো। এরমধ্যে রয়েছে কেক তৈরিতে ব্যবহার করা পত্রিকার কাগজ। যা ক্যান্সার তৈরিতে সাহায্য করে। রয়েছে ক্ষতিকারক রং এর মিশ্রন।
সরকারের তরফ থেকে এই ভেজালকে ঠ্যাকাতে কমতি না থাকলেও পর্যাপ্ত আইনের ব্যবহার না করতে পারায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে এ ধরণের অপরাধ। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বরগুনা শহরের বিভিন্ন বেকারির কারখানায় চালানো হয় ভেজাল খাদ্য বিরোধী অভিযান। একই সাথে পরিবেশ দূষণকারী কয়লার চুল্লিতে চালানো হয় এ বিশেষ অভিযান।
নিরাপদ খাদ্য আইন ও পরিবেশ আইনকে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চালানো ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে করা হয়েছে জরিমানা। ফের একই অপরাধ না করারও হুঁশিয়ারী দেন বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ।
দিনব্যাপী এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বরগুনা জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বরগুনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ হায়াত মাহমুদ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) এর পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জয়দেব রাজবংশী, বরগুনা সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ আমিনুল ইসলাম শামীম ও পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম খলিলসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনী বরগুনা কন্টিনজেন্ট, বরগুনা সদর থানা, ফায়ার সার্ভিস ও ডিবি পুলিশের টিম।
ভ্রাম্যমান এ আদালতের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য আইনে রুচিতা বেকারিকে ১ লক্ষ টাকা, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে আনন্দ বেকারিকে ১ লক্ষ টাকা এবং ওজন ও পরিমাপ দন্ড আইনে আবিদা বেকারিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বরগুনা ফিলিং স্টেশনে তেলের ওজন পরীক্ষা করে কিছুটা ত্রুটি পাওয়ায় বিএসটিআই কর্তৃক পরীক্ষার নির্দেশ প্রদান করা হয়। একই সাথে তেলের মূল্য অতিরিক্ত মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও পাথরঘাটার মাদারতলীতে বিশখালী নদীর পাড়ে অবস্থিত পরিবেশ দূষনকারী একটি অবৈধ কয়লার চুল্লি ধ্বংস করা হয়। পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় অবৈধ চুল্লির মালিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।