শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও:: বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তোরণের পথে যাচ্ছে, সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে, কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বা মধ্যবর্তী সময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও আইনজীবী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারতসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য এবং সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দলটির অবস্থান কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আগে ক্ষমতায় যাই, ক্ষমতায় গেলে তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের রূপরেখা এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন ক্ষমতায় যাব, তখন পার্লামেন্টে গিয়ে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এছাড়া তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিএনপির প্রতি আকর্ষণ ফিরিয়ে আনতে দলে সব ধরনের পরিবর্তন ও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে হ্যান্ডেলিং দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, পোর্টের হ্যান্ডলিং দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার ভালো মনে করেছে তাই দিয়েছে। তবে আমরা ক্ষমতায় এলে বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করব।
বিএনপির ভেতরে কোন্দলের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি অনেক বড় রাজনৈতিক দল। একেকটা সিটে ৪ জন ৫ করে প্রার্থী আছে। সেই হিসেবে কিছুটা কোন্দল হওয়াটা স্বাভাবিক। এতে বোঝা যায় বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল।
জেলার বিজ্ঞ আইনজীবীরা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইন-আদালতের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী,জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন,সাধারণ সম্পাদক মকদুম সাব্বির মৃদুল ও অন্যান্য আইনজীবীরা।














