এস কে সিরাজ, সাতক্ষীরা- সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হঠাৎ পাসপোর্ট করার হিড়িক পড়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই পাসপোর্ট করতে আসা মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা গেছে। সক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি সেবা গ্রহীতা আসায় হিমশিম খাচ্ছে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষ আসছে নতুন পাসপোর্ট করতে। স্থানীয়রা বলছে, এর আগে একসঙ্গে এত মানুষের ভিড় পাসপোর্ট অফিসে দেখা যায়নি।
সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ৫টি বাই স্টেশনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। যাতে প্রতিদিন ৬০ জন করে মোট ৩শ জনের সেবা দেওয়া সম্ভব। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্বিগুণ-তিনগুণ আবেদনকারী ভিড় করছে। গত তিন দিনে (রোববার-মঙ্গলবার) দেড় হাজারের বেশি আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিন দিনে লোক এসেছে চার হাজারের বেশি।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এলাকায় দেখা যায়, ভোর থেকে পাসপোর্ট অফিসের প্রধান ফটকের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহক। কাক ডাকা ভোর থেকেই এসব গ্রাহকের লম্বা লাইন শুরু হয়। প্রাচীরের গা ঘেষে রয়েছে মেয়েদের আলাদা লাইন। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লাইনও আরও লম্বা হতে থাকে।
তবে ভোগান্তি কমাতে দূর-দূরান্ত থেকে পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকদের সেবা দিতে খোদ উপপরিচালক মেহেদী হাসান নিজে খোঁজ খবর নেন। এ সময় অসুস্থ, বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশুদের তিনি অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দেন দায়িত্বে থাকা সবাইকে।
সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন ৫টা বাই স্টেশনের মাধ্যমে ৩শ জনকে সেবা প্রদান করা যায়। আর যদি রাত পর্যন্ত কাজ করা হয় তাহলে ৪শ থেকে ৫শ মানুষের সেবা দেওয়া সম্ভব। গত তিন দিনে আমরা আবেদন জমা নিয়েছি দেড় হাজারের বেশি। কিন্তু বিগত কয়েক দিনে প্রতিদিন পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকের সংখ্যা এক হাজারের অধিক। তাতে আবার জনবল সংকট থাকায় একজন কর্মকর্তাকে দুই-তিনজনের কাজ করতে হয়। তারপরও আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যাতে কেউ পাসপোর্ট করতে এসে ভোগান্তির স্বীকার না হয়। উপসহকারী পরিচালকসহ ৭ জন লোকবল কম নিয়ে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাসপোর্ট করতে আসা মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।