পিরোজপুর :: পিরোজপুরে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া শত বছরের পুরোনো ভাড়ানি খাল উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তায় শুরু হয় খাল খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের বুক চিড়ে বয়ে চলা দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২০-২২ ফুট প্রস্থ এ খালের দুই পাশজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। ফলে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত এবং এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছিল। এখন এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে খালটির আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে খালের দুই পাশের বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু পাকা স্থাপনাও রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানের নির্দেশে পিরোজপুরের ঐতিহ্যবাহী ভারানি খালের পুনঃ খননের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদ এ সময় তার সাথে ছিলেন পিরোজপুর জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি এম সোহেল মাহমুদ, সাবেক ছাত্রনেতা আলিফ আহমেদ রাজিব সহ পিরোজপুর জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন,জেলা পরিষদ,পিরোজপুর পৌরসভার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
পিরোজপুর জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি এম সোহেল মাহমুদ বলেন,পিরোজপুরের ঐতিহ্যবাহী এই ভাড়ানি খালটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ খাল,বিগত ১৬ বছর এই খালটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো,আমি পিরোজপুরের জেলা প্রশাসককে খালটি পুনঃ খননের জন্য তার এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি আমরা পিরোজপুর পৌরবাসী ও আমার জেলা কৃষক দলের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
পরিদর্শন শেষে পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন,আমরা পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে এবং এখানকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে নিয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আজকের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম চলছে,এই খাল খনন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে,আমরা বিশ্বাস করি পিরোজপুর পৌরবাসীর দীর্ঘদিন প্রাণের দাবি যে এই খালটি অপ দখলমুক্ত হোক ও প্রবাহমান হোক সেই জায়গায় আমরা নিয়ে যেতে পারবো এবং পিরোজপুর পৌরবাসীকে একটি সুন্দর খাল উপহার দিতে পারবো,আমরা এই খাল খননের পূর্বে মাইকিং করেছি ও সবাইকে জানিয়েছি আমার বিশ্বাস কোন না কোন ভাবে প্রত্যেকের কাছে এই তথ্য চলে গিয়েছে এবং এটা দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্ল্যানিং করেছি সবাইকে জানিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। আপাতত আমাদের সাথে পিরোজপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে পিরোজপুর পৌর প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন রয়েছে এছাড়াও সকলের সহযোগিতায় আমরা পূর্বের অবস্থানে এবং ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবো।