বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রিয়েল এস্টেট খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রিয়েল এস্টেট খাতের অবদান শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় রিহ্যাবের রিয়েল এস্টেট রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গ্রিন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) -এর প্রেসিডেন্ট মোঃ ওয়াহিদ্দুজ্জামান। সেমিনারে তিনি বলেন, রিয়েল এস্টেট খাত আজ দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। এই খাত শুধু শহর নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। উন্নত পরিকল্পনা, গবেষণা এবং নীতিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে রিয়েল এস্টেট খাত বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে আরো অধিক ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি বলেন অনেক দিন পর রিহ্যাব গবেষণার কাজ শুরু করলো। এটা চলমান থাকবে।
অনুষ্ঠানে রিহ্যাব এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) আব্দুর রাজ্জাক, রিহ্যাব পরিচালক ও প্রেস এ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্, রিহ্যাব পরিচালক ইঞ্জি. মঞ্জুরুল ফরহাদ, মো: মোবারক হোসেন, এ. এফ. এম. ওবায়দুল্লাহ, মিরাজ মোক্তাদির এবং মোঃ ইমদাদুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাসুম ইকবাল। তিনি রিয়েল এস্টেট খাতের উদীয়মান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাব পরিচালক ও রিয়েল এস্টেট রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো: হারুন অর রশিদ।
সেমিনারে প্রসেফর ড. আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর ড. আমান উদ্দিন মুজাহিদ, মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার তাদের মতামত তুলে ধরেন।।
বক্তারা বলেন, এই খাত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২৫০টির বেশি শিল্পকে প্রভাবিত করে এবং ৪০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। বিশেষ করে সিমেন্ট, স্টিল, ইলেকট্রিক, সিরামিক, ব্যাংকিং, বিমা ও পরিবহন খাত এই শিল্পের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। রিয়েল এস্টেট খাতের সঠিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন সুপরিকল্পিত নগরায়ণ, আধুনিক হাউজিং নীতি, এবং পরিবেশবান্ধব নির্মাণ প্রযুক্তি। গবেষণাভিত্তিক পরিকল্পনা ও সরকারের নীতিগত সহায়তা থাকলে এই খাত দেশের টেকসই উন্নয়নে আরও বড় অবদান রাখতে পারবে। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতেও রিয়েল এস্টেট খাতকে গবেষণা ও প্রযুক্তিনির্ভর একটি শক্তিশালী শিল্পে পরিণত করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে এমন সেমিনার ও গবেষণা কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।












