আব্দুল কাদের, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
অপেক্ষার পালা শেষ। জেলাবাসীর বহুল আকাঙ্খিত কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কুড়িকৃবি) ক্যাম্পাস অবশেষে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হতে যাচ্ছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়েছে। প্রথম দিন ভর্তি হয়েছে ১৭ শিক্ষার্থী ৷ জানুয়ারিতে শুরু হবে শ্রেণিপাঠ দান কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ সাদেকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর কৃষি গুচ্ছের আওতায় কুড়িকৃবিতে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে যারা কুড়িকৃবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন আজ সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) থেকে তাদের ভর্তি শুরু হয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেধাতালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন। এ বছর এগ্রিকালচার ও ফিশারিজ অনুষদে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, কুড়িকৃবিতে এ বছর ৮০ আসনে ভর্তির সুযোগ থাকলেও প্রথম পর্যায়ে এগ্রিকালচার অনুষদে ৩২ জন এবং ফিশারিজ অনুষদে ২২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। বাকী আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির সুযোগ থাকবে। অপেক্ষমান তালিকা থেকে নির্বাচিতদের আগামী ২২ ডিসেম্বর ভর্তি করা হবে। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কুড়িগ্রাম শহরের দক্ষিণে নালিয়ার দোলা নামক স্থানে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কুড়িগ্রাম শহরের ভোকেশনাল মোড় এলাকায় প্রশাসনিক ভবন এবং শহরের টেক্সটাইল মোড় সংলগ্ন স্থানে একাডেমিক ভবন ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আপাতত এসব ভবনে কার্যক্রম চলবে।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ সাদেকুজ্জামান বলেন, ‘আপাতত ভাড়া ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে আগামী জানুয়ারিতে শ্রেণিপাঠদান শুরু করা হবে।’
শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া পশ্নে ডেপুটি রেজিস্ট্রার বলেন, ‘ সময় স্বল্পতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারলে খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে। তবে পুরো বিষয়টি ভিসি স্যার ভালো বলতে পারবেন।’
ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম আনন্দবাজারকে বলেন, ‘ আমরা অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্বদ্যালয়ের কাযক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপাতত তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আমি ইতোমধ্যে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের যে কোনো প্রয়োজনে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কুড়িকৃবি) কে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ কারিগরি, তাত্বিক ও গবেষণা সহায়তা প্রদান করবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নে ভিসি বলেন, আমরা দুইজন টিচার তো আছি। বাকী যা লাগবে সেটা এই সময়ের মধ্যেই ম্যানেজ করে ফেলবো ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, ইউজিসি’র সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পরামর্শে কাজ করবো যাতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।