ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, কোন হজ এজেন্সির অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকে বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হজ কার্যক্রমের সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, অনলাইন প্লাটফর্মে বাড়িভাড়ার অনুরোধ দাখিল ও সে অনুরোধ অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের সৌদি গমনের ক্ষেত্রে আশঙ্কা আছে। হজযাত্রীদের প্রতি কিছু হজ এজেন্সির কমিটমেন্ট ও দায়বদ্ধতার অভাবে এখনও বেসরকারি মাধ্যমের ১০ হাজার ৪৮৭ হজযাত্রীকে নিয়ে আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি। তিনি আরো বলেন, কোন এজেন্সির অবহেলা বা গাফলতির কারণে কোন হজযাত্রী যদি হজ করতে না পারে সেদায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। এর দায় কোনভাবেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহন করবে না।
ড. খালিদ বলেন, এ বছর সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ৫ হাজার ২০০ জন হজযাত্রীর জন্য সকল ধরণের আনুষ্ঠানিকতা অনেক আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন তাদের ভিসার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে।
ড. খালিদ আরো বলেন, সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইন প্লাটফর্মে বাড়িভাড়া ও পরিবহন চু্ক্তি করার জন্য হজ অফিস, জেদ্দা ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে হজ এজেন্সিগুলোকে মোট ০৮টি পত্র ও অসংখ্যবার ক্ষুদে বার্তা দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে জুম প্লাটফর্মে বেশকিছু সভা করা হয়েছে। এছাড়া, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রায় প্রতিদিনই এ সংক্রান্ত নানা তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি হজ এজেন্সিগুলোকে সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুসারে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হতে এবছর সরকারি মাধ্যমে ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী হজ পালন করবে। আগামী ২৯ এপ্রিল হতে হজ ফ্লাইট শুরু হবে এবং হজ শেষে ১০ জুন থেকে ফিরতি ফ্লাইটে হজযাত্রীরা দেশে ফিরতে শুরু করবে।
এ সময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জুরুল হক ও ধর্ম সচিবের একান্ত সচিব মোঃ কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।