শাহীন আকতার চাঁপাইনবাবগঞ্জ :: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। বরেন্দ্রভূমি নাচোল, প্রাচীন জনপদ গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলাতে বইছে ভোটের হাওয়া। এ তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন। আসনটিতে চলছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। ব্যানার ফেস্টুনের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনটি বিএনপির ‘রিজার্ভ আসন হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সব নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছে এখানকার ভোটাররা।
এ আসনটিতে ভোটের মাঠে আধিপত্য কেবল বিএনপিরই। তাই নিজেদের ঘাঁটিতে বিএনপির অন্তত ৮-৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বিএনপি’র সুবিধাবাদী নেতারা বিএনপি’র দুদিনের ১৭-১৮ বছর যারা কোনদিন আন্দোলন সংগ্রামে একদিনও আসেনি । তাদের মধ্যে ৫-৬ জন নতুন হাইব্রিড প্রার্থী বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। ৫ আগস্ট পর থেকে বিএনপি কিছু অসাধু নতুন হাইব্রিড নেতা সেন্টারে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীতে মাঠে নেমেছে। এতে করে বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশা বিরাজ করছে ।
অসাধু নতুন হাইব্রিড নেতারা যারা কোনদিন দল পার্টি করল না বিএনপি দুর্দিনে থাকল না, ফ্যাসিস হাসিনার বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি। তারাই আবার মনোনয়ন প্রত্যাশী । যারা ১৭-১৮ বছর বা দীর্ঘদিন বিএনপি’র কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিল না, ৫ আগস্ট এর পর ৫-৬ জন প্রার্থী নতুন মাঠে নেমে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নানা মত ও পথে বিভক্ত।এ সুযোগে সুসংগঠিতভাবে মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী।
সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থানে থাকা জামায়াতে ইসলামী ভোটের মাঠে তার কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে তা এখন আলোচনায়। ২০০৮ সালের কারচুপির ভোট ও ২০১৪ সালে বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ এই আসনে বিজয় হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার বিএনপির দখলে যায় এই আসন। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও বিএনপি নজিরবিহীন সংকটে পড়েছে।
দলটির বড় সমস্যা দলের নেতাদের মধ্যে অনৈক্য। দলের মনোনয়ন ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র কোন্দল, যা তৃণমূলকে বিভক্ত ও হতাশ করছে। বিএনপি এমন নির্বাচনকেন্দ্রিক অন্তর্কোন্দল সুসংগঠিত দল জামায়াতে ইসলামীর জন্য একটি বড় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কিছু অসাধু নেতার পাল্লায় পড়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলের মনোনয়ন নিয়ে দিবে হাইব্রিড প্রার্থীরা ৫ আগস্ট এর পরে মাঠে টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা লোক বল দেখিয়ে বিএনপি ত্যাগী নেতা হিসাবে প্রচার- প্রচারণা করায় ত্যাগী মনোনয়ন প্রত্যাশী ত্যাগী নেতাকর্মী এদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে যারা কোনদিন দল পার্টি করল না তারা মাঠে কেন আবার দলের পরিচয় দিয়ে এমপি প্রার্থী প্রচারণা করছে। বিএনপির একাধিক বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ভোটারের কাছে দোয়া চাইছেন। যারা আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করেছেন ,তারাই মাঠ থেকে ছিটকে পড়েছে ত্যাগী নেতারা ।
ত্যাগী নেতাকর্মীদের আশা এই ব্যাপারে হাই কমান্ডের নজর দেওয়া দরকার ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করলে দলের ভবিষ্যৎ ত্যাগে নেতাকর্মীরা অবহেলিত অবমূল্যায়ন হবে ভবিষ্যত দলের সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়বে। বিএনপির সমর্থক বা ভোটাররা এই হাইব্রিড নেতাদের ব্যাড়া-জালে আটকে পরেছে।
বিএনপির কোন্দলের কারণে জামায়াতের নেতাকর্মীরা দলীয় ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় নিজেদের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করছে। বিএনপির কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে তারা ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে পারে বলে ধারণা করছেন দলটির সমর্থকরা।