পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর ০২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১ হাজার ৫৪০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ৩ হাজার ৭৯৭টি মামলার মাধ্যমে ২৬ কোটি ৩৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ সময়ে ৪৮৯টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়, ২১৬টি ভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়, ১৩৩টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয় এবং ২৫টি পলিথিন কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়। পাশাপাশি ১৩২টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ/সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৯ ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়।
অপরদিকে, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করায় ফেনী, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ৯টি মামলার মাধ্যমে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ৩১৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানে বাজার ও সুপারশপে সচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করা হয়।
এছাড়া একই দিনে যানবাহন কর্তৃক মানমাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমন রোধে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার মতিঝিল-গুলিস্তান সড়কে ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে নড়াইল, বান্দরবান, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রামে পরিচালিত ৫টি মোবাইল কোর্টে ১৯টি মামলায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৩৪টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় দূষণবিরোধী এ ধরনের অভিযান সারা দেশে অব্যাহত থাকবে